সারা রাজ্য জুড়ে শীতের বিদায় ঘণ্টা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে।তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বগামী।উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ কিছুটা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সূর্যমামা নিজের প্রকোপ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে।বসন্তের আগমনে গাছগুলির পুরনো পাতা ঝড়ে গিয়ে নতুন পাতা গজাচ্ছে।হোলিতেও এবার উচ্চ তাপমাত্রার কারণে নাজেহাল হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। বসন্তের মনোরম আবহাওয়ার বদলে দক্ষিণবঙ্গে দেখা যাচ্ছে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া। পারদ উঠে যেতে পারে প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে,সঙ্গে যোগ হবে আদ্রতা।
যা এই গরমকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। হওয়ায় অফিস সূত্রে খবর,অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যের প্রকোপ কিছুটা আগের থেকেই দেখা যাচ্ছে।ফলে মার্চ মাসেই গরমের দাপট অন্যবারের থেকে বেশি হবে বলেই খবর। কলকাতায় বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২.২ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৩৫-৮০ শতাংশ। গরম থেকে স্বস্তির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো খবর: এবার আ’ত’ঙ্কে’র নতুন নাম হংকং ফ্লু! উপসর্গ গুলো কি কি?
হালকা বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম- এ। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ১৫ তারিখ থেকে। সে সময় বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই।
ফলে ১৫ থেকে ১৭ মার্চ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে,ফলে স্বস্তি পাবে রাজ্যবাসী। এবার মার্চেই একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ এবং লু বইবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
প্রসঙ্গত , গত ১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি ছিল ২০২৩ এর।গোটা ফেব্রুয়ারি মাসে রাতের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ০.৮১ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ২৯.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এর আগে ১৯০১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সূর্য এইরকম দাপট দেখিয়েছিল।
