নানান সময় নানান রকম ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকে বিহার। কিছুদিন আগেই বিহারের একটি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার পিছনে দায়ী করা হয়েছিল জোরে আসা হাওয়াকে,যা শুনে একেবারে অবাক হয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
তবে এবার অভিযোগ উঠেছে বিহারের আস্ত পঞ্চায়েত ভবন চুরি হওয়ার। এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান যদিও পঞ্চায়েত প্রধানকে গোটা ব্যাপারের জবাব দেওয়ার জন্য দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরপুরে।
এই এলাকাটি আরুই পঞ্চায়েতের অধীনে। এই পঞ্চায়েতের ভবনটি তৈরি করা শুরু হয়েছিল ১৫ বছর আগে কিন্তু এতদিন ধরে ওই ভবনটিকে শেষ করা হয়নি এবং কেন এতদিন ধরে একটি ভবন তৈরি করতে লাগছে এ প্রশ্নটা একপ্রকার অস্বস্তির সৃষ্টি করেছিল।
আরো পড়ুন: ক্যাটরিনার সুখ দে’খে নিজেকে সামলাতে পা’র’লে’ন না আলিয়া, ব’লে দিলেন অপ্রিয় কথা
পড়ে খবর পাওয়া যায়, এই আধা নির্মিত ভবনটিকে বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান এবং সেটি জানার পরে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে আরো ব্লক পঞ্চায়েত রাজ অফিসার গিরিশজেশ নন্দন।
হঠাৎই তিনি দেখতে পান যে এই আধা তৈরি করা ভবনটি একদিনের মধ্যেই গায়েব হয়ে যায় এবং গোটা জমি একেবারেই ফাঁকা। এরপরে গোটা ব্যাপারটি তদন্ত করার জন্য ডাকা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে, যদিও এই ব্যাপারে কোন রকমে উত্তর পাওয়া যায়নি পঞ্চায়েত প্রধানের তরফ থেকে। শোকজ করা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে এবং বলা হয় দুদিনের মধ্যে যথাযথ উত্তর দিতে।
এই গোটা ব্যাপারে মোজাফফরপুরের জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক সুষমা কুমারী জানিয়েছেন,” অর্ধনির্মিত পঞ্চায়েত ভবনটির ইট এবং বালি বিক্রি করে দেওয়ার খবর সে জেনেছে,এবং এই ভবনটি একেবারেই কোন সরকার অনুমোদন ছাড়াই ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং যেটা বেআইনি। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এর জন্য বিস্তারিত তথ্য চাওয়া ইতিমধ্যেই হয়েছে। এই গোটা ব্যাপারের জন্য যে দোষী হবে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে”।
চলতি বছরের ২৯ শে এপ্রিল বিহারের একটি সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছিল, তবে এই ঘটনার জেরে অন্য কোনো বিপদ হয়নি বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে এক আইএএস অফিসার গড়করিকে জানিয়েছিলেন, জোরে হাওয়ার ধাক্কায় এই ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং যে উত্তরটি শুনে একেবারে অবাক হয়ে যান গড়করি।