অক্ষয় কুমার বলিউড ইন্ডাস্ট্রির খুব কাছের মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর জনপ্রিয়তাও ব্যাপক। সেই কবে থেকে আজ পর্যন্ত একইরকম ভাবে চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন অভিনেতা। বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রতি বছর কয়েকশো কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে থেকেন অভিনেতা। তাই অভিনেতা যে ভীষণ রকম রাজকীয় হালে জীবনযাপন করেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী তথা রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না। টুইঙ্কেল খান্নাও একসময় অভিনেত্রী ছিলেন, এখন তিনি লেখিকা।
তাই বোঝাই যাচ্ছে টুইঙ্কেলেরও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তাদের দুই সন্তান আরভ এবং নিতারা। তবে বাবা-মা এর প্রচুর সম্পত্তি আছে মানেই তারা দুহাত খুলে খরচা করবেন এমন শিক্ষা কিন্তু ছেলেমেয়েকে দেননি এই তারকা জুটি। ছেলেমেয়েকে বুঝিয়েছেন অভাব কাকে বলে। ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের অর্থের মূল্য বুঝিয়েছেন এবং অযথা বাজে খরচ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অক্ষয় কুমারের জীবনযাপন বরাবরই শৃংখলাবদ্ধ। তিনি শরীরের অন্যরকম যত্ন নেন। নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে এক পাও দেন না। লেট নাইট পার্টি করেন না। শুটিং শেষ হলেই বাড়ি ফিরে আসেন, পরিবারের সাথে সময় কাটান। তারপর আবার পরদিন ভোর ৪ টেয় উঠে শরীরচর্চাও করেন। প্রফেশনাল জীবনের সাথে পার্সোনাল জীবনটাকেও খুব গুরুত্ব দেন এই অভিনেতা। নিজের মতো তাঁর ছেলে মেয়েকেও তিনি ছোট থেকে সুশৃংখলভাবে জীবনযাপন করতে শিখিয়েছেন।
বিনা পরিশ্রমে ছেলেমেয়েকে কিছুই দিতে রাজি নন বাবা অক্ষয় কুমার। অক্ষয় এবং টুইঙ্কেলের ছেলে আরভও বাবা অক্ষয় কুমারের মতোই মার্শাল আর্টে বিশেষ পারদর্শী। তার মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট রয়েছে। আর তারপরেই সে প্রথমবারের মতো বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছে। আরভের মতো মেয়ে নিতারাকেও কঠোর অনুশাসনের মধ্যেই মানুষ করছেন অক্ষয় কুমার।
নিতারা ছোট থেকেই রামায়ণ, রূপকথা ইত্যাদি নানা ধরণের বই পড়তে খুব ভালোবাসে। বাড়িতে টুইঙ্কেলের ব্যস্ততায়, তাঁর অনুপস্থিতিতে সন্তানদের দেখভাল করেন অক্ষয়ই। তাই অক্ষয় শুধু একজন দক্ষ অভিনেতাই নন, পাশাপাশি একজন আদর্শ বাবাও। আর তা প্রকাশ পায় তাঁর ছেলেমেয়ের প্রতি যত্নে।