বিগ বসের ফাইনালে আসার জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগী নিজেদের চেষ্টা মত সাধ্য মতো সমস্ত টাস্ক গুলি পূরণ করার চেষ্টা করছেন। ফিনালে আসার সাথে সাথেই টাস্ক গুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে আসছে। বিগ বসের ১৫ তম সিজিনে ৪ঠা জানুয়ারি তে যে টাস্কগুলি প্রতিযোগীদের দেওয়া হয় তা সবথেকে কঠিন। অন্যদিকে এই দিনে টাস্কে সম্মুখীন হন দেবলীনা ভট্টাচার্য এবং রেশমি দেশাই। দুই প্রতিযোগীদের এমনই একটি টাস্ক দেওয়া হয় যা পূরন করতে গিয়ে নিজের প্যাণ্টেই প্রস্রাব করে বসেন দেবলিনা।
দুই প্রতিযোগীকে বিগবসের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৫ ঘণ্টা একটি খুঁটি ধরে এক জায়গাতে দাঁড়িয়ে তাদের থাকতে হবে, এমনকি ওই খুঁটিটি সঙ্গেও ২ প্রতিযোগীর হাত বেঁধে দেওয়া হয় ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে দাড়িয়ে থাকাটা মুখের কথা নয়, শুধুমাত্র যে দাঁড়িয়ে থাকা তা নয় তারপরে অন্যান্য যে সমস্ত প্রতিযোগিতা ছিল তারা রেশমি এবং দেবলিনার ওপর নানান রকম জিনিস ছুড়তে থাকেন। এই টাস্কের একটি লক্ষ্য ছিল সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা। রেশমি এবং দেবলিনা খুঁটির সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু কেউই নিজের হার স্বীকার করতে রাজি নন এই কাজটি জেতার জন্য গোটা রাত ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও বাথরুমে যেতে পারেননি দেবলিনা। অবশেষে যখন সকাল হয় সেই সময় তার ধৈয্য ভেঙে যায় কিন্তু তবুও সে সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে কাজটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টায় লেগে থাকেন।
Ok Nishant bhatt it was devo who was encourage you when you where doing task and what you have done shame on you😡#DevoleenaBhattacharjee stay strong ❤️ pic.twitter.com/UzSQDkLTmu
— Devo_shreya || DEVO IN BB15|| (@devoleena_my) January 4, 2022
এরপরে তার এক সহ-প্রতিযোগী প্রতীক সহজপাল কে তিনি বলেন তার ওপর যেন বালতি বালতি জল ফেলা হয়, এরকম অবস্থাতেই প্রতীক যখন দেবলিনার গায়ে জল ঢালছে সেই সময় নিজের প্যাণ্টেই দেবলিনা প্রস্রাব করে ফেলেন। দেবলিনা এবং রেশমির সহ্যের বাঁধ ভাঙতে না দেখে টাক্সটিকে আরো কঠিন করে তোলে বিগ বস। খুঁটি থেকে দুই প্রতিযোগীকে হাত সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে এবং কোনো কিছুর উপর ভর না দিয়েই তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। অন্যদিকে নিশান ভাট এবং শামিতা শেটি দেবলীনাকে নিশানা করে এবং অভিনেত্রী পায়ে বালতি বালতি জল ঢালতে থাকে এইরকম অবস্থিতি হঠাৎ দেবলিনা পা পিছলে পড়ে যান। এই অবস্থায় দেবলিনার এরকম কঠোর সহ্য ধৈর্য দেখে নেটিজেনরা প্রসন্ন। অনেকেই বলেছেন, ” দেবলিনার ভক্ত তারা নন তবুও যেরকম ভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি তার শক্তি দিয়ে লড়াই করে গেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”