সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কিরকম ভাবে টা’কা রে’খে দিলে আপনি টা’কা জ’মা’তে পারবেন? হ’তে পারবেন ধনী!

বেশি অর্থের স্বপ্ন কে দেখেনা বলুনতো! তবে শুধু টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি থাকলেই তো হল না সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গায় রাখাও জরুরি। আর যদি সেই জায়গা নিয়ম না মেনে টাকা-পয়সা, গয়না এ সব জিনিস রাখা হয়, তা হলে লক্ষ্মী গৃহস্থে বিরাজ করেন না। তাই প্রথমেই উচিত টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিস হিসেব করে গুছিয়ে রাখা।

তা না হলে আর্থিক সংকটের কবল থেকে কোনোভাবেই মুক্ত হতে পারবেন না। আজকের প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় বাড়ির কোন জায়গায় টাকা রাখলে তা সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।চলুন তবে দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক।

উত্তর দিক- শাস্ত্র মতে, উত্তর দিক কুবের দেবতার দিক। তাই টাকা-পয়সা সব সময়ে উত্তর দিকে রাখাই ভালো। উত্তর দিকে টাকা-পয়সা রাখলে সেখান থেকে পজিটিভ এনার্জি পাওয়া যায়। এর ফলে অর্থনৈতিক সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তবে কখনোই দক্ষিণ দিকে বাড়ির সিন্দুক, আলমারি, মানিব্যাগ, টাকা পয়সা রাখা ঠিক নয়।

আরো খবর: এই দিন সা’ড়ে ৫ ঘন্টারও বেশি সময় ট্রেনের টিকিট কা’টা যা’বে না! জানুন তারিখ

না হলে পূর্ব দিক– উত্তর দিকে টাকা রাখা কোনোভাবেই সম্ভব না হলে পূর্ব দিকে টাকা রাখা যেতে পারে। বাড়ির পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যদি পূর্ব দিকে ক্যাশবাক্স রাখা যায় তাহলে মা লক্ষ্মীর আশির্বাদ বর্ষিত হয়।

ঠাকুরঘর– বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঠাকুরঘরে কখনোই টাকা-পয়সা, গয়না ইত্যাদি জিনিস রাখা ঠিক নয়। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন।শোয়ার ঘরে এই সব মূল্যবান জিনিস রাখা অত্যন্ত ভালো। এতে অর্থনৈতিক সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।

বাড়ির চারকোণ ঘেঁষে– অনেকেই বলে থাকেন, বাড়ির যে কোনো কোণ ঘেঁষে আলমারি বা সিন্দুক রাখতে নেই। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম,দক্ষিণ-পুর্ব কোণ কোনো মুল্যবান জিনিস রাখার পক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়।

প্রধান দরজা থেকে দূরে সিন্দুক রাখা– বাড়ির প্রধান দরজা থেকে প্রবেশের সময়ে যদি সিন্দুক বা আলমারি দেখা যায় তাহলে তা বাস্তু মতে অত্যন্ত অশুভ। তাই এইসব ব্যাপার এড়িয়ে চলুন।

মানিব্যাগ খালি না রাখা– মানিব্যাগ যাতে কোনো সময় খালি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। অল্প হলেও কিছু টাকা মানিব্যাগে সব সময়ে রেখে দেওয়া ভালো।

পরিষ্কার জায়গায় টাকা রাখা– টাকা-পয়সা অপরিষ্কার জায়গায় রাখলে মা লক্ষী ক্ষুণ্ণ হন এবং গৃহস্থ মায়ের পায়ের ধুলো থেকে বঞ্চিত হয়।