আজকাল সব জিনিসের দাম এতই মাত্রাতিরিক্ত বাড়ছে যে সংসার চালাতে গিয়ে নাকানি, চোবানি খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই খরচ চালাতে মানুষকে সাহায্য নিতে হয় লোনের। আজকাল খুব সহজেই লোনও পাওয়া যায়।
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, যদি কখনও লোন গ্রহণকারী ব্যক্তির হয় তখন কি হবে? কিভাবেই বা টাকা শোধ হবে! অনেকে মনে করেন যে হয়তো লোন গ্রহণকারী ব্যক্তির বাড়ির লোকেদের ঋণ শোধ করতে হয়। কিন্তু এই ভাবনা কি আদৌ ঠিক? বিভিন্ন লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম। চলুন আজকের প্রতিবেদনে আসল কথাটি জেনে নেওয়া যাক।
পার্সোনাল লোন বা ক্রেডিট কার্ড : এই ধরণের ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ড দুটিই অসুরক্ষিত ঋণের বিভাগে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণ কারী ব্যক্তির অকস্মাৎ মৃত্যু হলে ব্যাংক কখনোই তার পরিবারের কাছে টাকা চাইতে পারে না। এমনকি মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীকে টাকা শোধ করার জন্য চাপও দেওয়া যায় না।
আরো পড়ুন: আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্প
হোম লোন : হোম লোন পার্সোনাল লোনের মতো অসুরক্ষিত নয়। এটি একটি সুরক্ষিত লোন। কারণ এই ঋণে ঋণ গ্রহণকারীর সাথে একজন কোঅ্যাপ্লিকেন্টের নাম যুক্ত থাকে। কোনো কারণে ঋণ গ্রহণকারীর মৃত্যু হলে ব্যাংক সেই টাকা উদ্ধার করে ওই কোঅ্যাপ্লিকেন্টের থেকে।
এছাড়া এই ঋণের সাথে একটি বীমার ব্যবস্থাও করা থাকে, যাতে ব্যক্তির কোনো দুর্ঘটনা হলে ব্যাংক ইনস্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে নিজের ধার দেওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারে।
অনেক সময় আবার ঋণ গ্রহণকারীর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা উসুল করে ব্যাংক। আর শেষমেষ যদি কোনো উপায় না থাকে তখন ব্যাংক ঋণ গ্রহণকারীর সম্পত্তি নিলাম করে নিজের টাকা উসুল করে, আর এই নিলাম সাধারনত সারফেসি আইনের অধীন।