সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে এনেছেন শাসকদলের পুজো ইশতেহার। সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে যে এই বছর ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।। গত বছর পর্যন্ত যেখানে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান ছিল বরাদ্দ সেখানে এক ধাক্কায় দশ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও থাকছে ব্যাপক ছাড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হারে অনুদান দিয়েছেন তা প্রায় ২৫৮ কোটি টাকার অংক। অথচ মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের হেলাফেলা কার্যত হাইকোর্টের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমালোচনায় সড়ক হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলিও।
রাজ্য সরকার যে এই বছর বিপুল আর্থিক অনুদান দেবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিল পুজো কমিটি গুলি। কিন্তু এক ধাক্কায় দশ হাজার টাকা বেড়ে যাবে তা আশা করেননি প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। সোমবার সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
আরো পড়ুন: বি’বা’হ বি’চ্ছে’দ নিয়ে বো’মা ফা’টা’লে’ন ধনশ্রী, চাহালকে নিয়ে ব’ড়ো ম’ন্ত’ব্য
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ ডিএ এখনো বকেয়া পড়ে আছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা হয়নি। আগামী ৩০শে আগস্ট দুপুরে দু’ঘণ্টার কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের বামপন্থী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
তাদের দাবি সরকার উৎসব, মচ্ছব, ফুর্তি, কার্নিভালের জন্য টাকা দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন তারা। অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নেরও দাবি যে সরকারি কর্মচারীদের হাত ধরে রাজ্যের উন্নয়ন হচ্ছে তাদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত।