ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও শীত পড়েনি। শীতের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে ছিল আম বাঙালি। সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে জাকিয়ে শীত পড়ল বাংলায়। আবার কিছুদিনের মধ্যেই শীতের মুখ ভার। জম্পেশ শীত উপভোগ করবার আগেই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। তবে বড়দিনের সকালে শীত হঠাৎ উধাও।
সকালবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ দেখে মনে হয়েছিল হয়তো সারাদিন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া কামর বসাবে শীত। কিন্তু শীতের দেখা নেই বেলা বাড়তেই। এমনকি বড়দিনের দিনেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। বছর শেষ আবার উৎসবের মরশুম এর মধ্যে এক মন খারাপ করা খবর দিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার দুপুর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে তামিলনাড়ু উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ। এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্পের আধিক্য বাড়বে। আগামী চার দিন রাজ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপমাত্রা বাড়বে। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রবিবার সোমবার এবং তারপর দিন তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি।
আরো খবর: বাংলায় প্রথম ছু’ট’বে বন্দেভারত, কতো টাকা ভা’ড়া হবে? কি বলছে রেল?
জলীয় বাষ্পের ফলে দুই বঙ্গে কুয়াশায় ঢেকে যাবে সকাল থেকে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি কোচবিহার এবং দুই দিনাজপুরে কুয়াশা থাকবে দুপুর পর্যন্ত। বছর শেষেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মুর্শিদাবাদ মালদা এবং দুই মেদিনীপুর জেলায় কাটা হবে বৃষ্টি। এমনকি পাহাড়েও বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড় জমেছে। এর মধ্যে বৃষ্টি এসে সব আনন্দ পন্ড করে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন এমন অনিয়মিত শীত তবে কি আর শীতের দেখা মিলবে না এই বছরে! আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন ৩০ তারিখের পরে আবারো আগের মতো এই শীতের ইনিংস শুরু হবে।