সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যুবককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দি’য়ে যা করলেন হবু স্ত্রী! পুলিশের দ্বা’র’স্থ প্রেমিক

তথ্য: এই সময়

সুযোগ বুঝে প্রেমিক এর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে সোনার গয়না, ফ্রিজ, মোবাইল, ব্র্যান্ডের জামাকাপড় তার সাথে নগদ টাকা । সমস্ত কিছু ঠিক দিকে এগোচ্ছিল, আইবুড়ো ভাত খাওয়াও হয়েছে শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু হঠাৎ করেই বিয়েতে বেঁকে বসায়, প্রেমিকা ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সেই যুবক।

অভিযোগকারীর নাম দেবাশীষ প্রামাণিক সুতাহাটার যুবক। প্রথমদিকে সেই যুবকের অভিযোগ নিতে চায়নি স্থানীয় থানার পুলিশ। কিন্তু যুবক নাছোড়বান্দা, যার কারণেই তিনি অভিযোগ দায়ের করার জন্য পৌঁছায় হলদিয়ার এসিজেম কোর্টে। আর সেখান থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়, থানায়।

তারপরে কোর্টের নির্দেশে সুতাহাটা থানার পুলিশ তমলুকের নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা ওই প্রেমিকা এবং তাঁর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।

আরো পড়ুন: ম’র্মা’ন্তি’ক, মাত্র ২৬ বছর বয়সেই প্র’য়া’ত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী

এরপরে সেই প্রেমিকা ও তার মা বাবার বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর সুতাহাটার থানার ওসি বিনয় মান্না বলেন, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণার সহ মোট চারটি ধারায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। অফিসার অভিযুক্ত দের সাথে কথা বলবে খুব শীঘ্রই।

এদিকে আবার অভিযোগকারী দেবাশিস প্রামাণিকের দাবি, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে। তার এক সহকর্মী তমলুকের নারায়ণপুরের এক মেয়ের সাথে দেখা করায়।

সেই মেয়েটি নিজেকে একটি ব্যাঙ্কের কর্মচারী হিসেবে দাবি করে। এরপরেই তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সম্পর্ক বহুদিনের ২০১৩ সালে মেয়েটির মোবাইল ফোনের আবদার মেটায় ছেলেটি ।

এখানেই শেষ নয়, যুবক জানায় একের পর এক আবদার আসতেই থাকে মেয়েটির তরফ থেকে। আর সেই আবদার আমি কষ্ট করে হলেও মেটাই। একটা সময় মেয়ের বাড়ি তরফ থেকেই বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: আ’ত্ম’হ’ত্যা’র প্রবণতার কারণ হ’তে পারে বায়ুদূষণ! কি বলছে সমীক্ষা?

আমি আমার প্রেমিকার বাড়ি যাতায়াত করতাম।আমি আমার প্রেমিকার বিভিন্ন আবদার পূরণ করি সেটা সোনার গয়না থেকে শুরু করে ফ্রিজ দামি জামা কাপড় সমস্ত কিছু। আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আবদারের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয় তারা।

১০ বছরের প্রেমিকার চিহিদা মেটাতে গিয়ে আমি আজ ঋণে জর্জরিত। এমন ভাবে ঠকানোর ফল তারা পাবেই। তাদের এই প্রতারণা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। তাদের এত কিছু নিয়ে বিয়ে না করা ,বিয়েতে ব্যাগরা দেওয়া সব কিছুর উত্তর সময় দেবে।