আজকের যুগে দাঁড়িয়ে বায়ুদূষণ হল অন্যতম বড় একটি সমস্যা। এই বায়ুদূষণের কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরণের রোগে, যেমন – হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং এমফিসেমার মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি আরও কত কি।
শুধু তাই নয়, এটি নার্ভ থেকে শুরু করে ব্রেইন, কিডনি, লিভার ইত্যাদিরও ব্যাপক ক্ষতি করে৷ সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে করা একটি নতুন গবেষণায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজি জার্নালে। গবেষণায় যা বলা হয়েছে তা বেশ চিন্তার বিষয়। বায়ুদূষণের ফলে যে মানসিক হতাশাযুক্ত রোগ হতে পারে তা ভাবতে পেরেছেন কখনও? আমেরিকার ওই গবেষণায় এই ব্যাপারেই জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: প্রতি রাতে দিল্লির রা’স্তা’য় দৌড়ায় এই কিশোর! কারণ জে’নে কুর্নিশ জা’না’চ্ছে নেট নাগরিকরা
গবেষণায় কিশোর- কিশোরীদের মধ্যে হতাশার ক্রমবর্ধমান লক্ষণগুলির সাথে ওজোন গ্যাসের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। ওজোন হল মূলত সূর্যালোকের উৎস মোটর গাড়ির দূষণ এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপন্ন হয়। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, উচ্চ ওজোন স্তর হল হাঁপানি, শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং অকাল মৃত্যুর কারণ।
শরীরের খুব উচ্চ মাত্রার প্রদাহের কারণ হল ওজোন এমন তথ্য ই মিলেছে গবেষণায়। আর শরীরের এহেন প্রদাহ থেকেই বিষণ্নতার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে হতাশার লক্ষণগুলিও প্রকাশ পায়। এই লক্ষণগুলির মধ্যে সর্বাধিক প্রকট হল ঘুমের ব্যাঘাত। এমনকি এর প্রভাবে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
তাই এই সমীক্ষার মাধ্যমে এই ধারণা খুব স্পষ্ট যে যে সব জায়গায় দূষণের পরিমাণ খুব বেশি, সেসব জায়গায় এই ধরনের মানসিক সমস্যাও বেশি। তাই সমাজ ও পরিবেশকে সবদিক থেকে সুস্থ রাখতে হলে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই প্রয়োজন।