সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জাতীয় সংগীত কোনটি? জাতীয় স্তোত্র কোনটি? বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন?

ভারত এবং বাংলাদেশ দুই স্বাধীন দেশের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতীয় সংগীত নাকি জাতীয় স্ত্রোত্র হিন্দিতে একে কি বলা হয়? সারা ভারত জুড়ে এই নিয়ে অনেক রকম মতামত রয়েছে! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে ঠিক কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা!

এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক কৃত্যপ্রিয় ঘোষ জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত জনগণমন হল ন্যাশনাল অ্যান্থেম বা জাতীয় সংগীত। তবে এর কোন বাংলা বা হিন্দির নাম নেই এটাকে আমরা জাতীয় সংগীত বলেই আখ্যা দান করে থাকি।

একইভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শ্যামলেন্দু মজুমদার জানিয়েছেন, বাংলা ভাষায় ন্যাশনাল অ্যান্থেমের কোনরকম অনুবাদ করা যায় না। আমরা তাকে জাতীয় সংগীত বলে থাকি। যদি এটা জাতীয় সংগীত হয় তবে বঙ্কিম চ্যাটারজি রচিত বন্দে মাতরম কি? কেউ বলেন এটা জাতীয় সংগীত নয় জাতীয় গীত!

আরো খবর: শান্তনু-র মোবাইলে “Unknown-1” নামে নম্বর সেভ, ED-র হাতে চ’ম’কপ্রদ ত’থ্য

এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বিষয়টি একেবারেই ঠিক নয়, সংবিধানে বন্দেমাতরম সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি যেহেতু সাংবিধানিক নয় তাই একে জাতীয় গীত বা সংগীত বলা যুক্তিযুক্ত নয়! একই কথা বলছেন শ্যামলেন্দু বাবু!

সংবিধান রচনার সময়ে জনগণমন অধিনায়ক এই গানটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তার কারণ একটা জাতীয় সংগীত হতে গেলে তা শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হলে চলবে না ।

সেখানে থাকতে হবে দেশের বর্ণনা। দেশ জাতি দেশের ঐক্যের প্রতিফলন। আর সে ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ রচিত এই গান সবদিক থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ।