শনিবার বিকেলে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গুরুগ্রন্থ সাহেবকে অপমান করার দায়ে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেন শিখ ভক্তরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। শিখ ধর্মকে অবমাননা করার চেষ্টা করেছিল এক যুবক। এই ঘটনার 24 ঘন্টা যেতে না যেতেই পাঞ্জাবের কাপুরথালা এলাকাতে আরো একটি গুরু দ্বারেও শিখ ধর্মের আঘাতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে আরও এক ব্যক্তির।
এই দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই দুটি ঘটনাতে পাঞ্জাব প্রদেশ কার্যত থমথমে হয়ে রয়েছে। শিখ সম্প্রদায়ের ঐক্যে ভাঙ্গন ধরানোর উদ্দেশ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান এই কাজ করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
https://www.facebook.com/100008222160999/videos/241671704774402/
একটি নিশান সাহেবকে অসম্মান করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ এক যুবককে আটক করেছিল। উত্তেজিত জনতা এরপর পুলিশের হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে রীতিমতো ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। মারের চোটে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। যারা বছর কুড়ির ওই যুবককে পিটিয়ে মেরেছে তাদের মধ্যে শিখ উগ্রবাদী নেতা এবং নিহঙ্গরা মিশে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে ভারত বিরোধী কাজ করছেন কাপুর থালা গুরুদ্বারের গ্রন্থি বাবা অমরজিৎ সিং। তিনিই ওই উগ্রবাদীদের ডেকেছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিন ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ধর্মাবলম্বী মানুষদের উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেন। তাই সন্দেহের তীর রয়েছে তার দিকে।