আমাদের জীবনে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। কোনো নেশা কোনো সখ আবার কারো প্রতি দুর্বলতা বা ভালোবাসা কোনো কিছুই বেশি ভালো না। আর এই কথাটা কত টা সত্যিই তার প্রমাণ বার বার মেলে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে একটি খবর বেরোয়। সেখানে বলা হয় এক প্রেমিকের পরীক্ষা তার প্রেমিকা দিতে অনেক কৌশলে পরীক্ষা হলে অবধি চলে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বিশদে বিষয়টি বললে বলতে হবে যে, বীর নর্মদা নামের এক তরুণ দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। সেই ছাত্র বছর বছর পাশ না করতে পারায় তার প্রেমিকা তাঁর হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নাম ও পরিচয়পত্রে ছবি বদলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা অধ্যাপকও বিষয়টি টের পাননি।
কোনো সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষা দিতে শুরু করেন। কিন্তু বাধ সাধে ওই হলেই পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রদের মধ্যে থাকা এক ছাত্র। সে হটাৎ করেই জানায় ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর সেটা শুনেই সকলে নড়েচড়ে বসেন। এরপর পরীক্ষকরা কাগজপত্র ভালভাবে খতিয়ে দেখেন। তাতেই সামনে আসে আসল ঘটনা।
আরো খবর: একই দিনে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তানের জন্ম হ’লো, বি’র’ল ঘ’ট’না আমেরিকায়
সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর কাছ থেকে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এরপর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই প্রতারণার কথা সামনে আসার পর তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় ওই তরুণী যে এই কাজ করেছেন, তা আগে জানতেনও না তাঁর পরিবারের লোকজন।
তরুণীর প্রেমিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন যুবক উত্তরাখণ্ডে ছিলেন বলেও জানান। তিনি উৎসবের আমেজে বেড়াতে বেড়িয়েছেন। এমত অবস্থায়, ওই তরুণীর কপালে কি রয়েছে সেটাই আসল বিষয়। কারন এমন প্রতারণামূলক একটা কাজে তাঁর নিজের সরকারি চাকরি যেতে পারে, সাথে তার সস্ত ডিগ্রিও বাতিল করা হতে পারে।
কিন্তু মেয়েটি শুধুই তার প্রেমিক কে সাহায্য করতেই এই কাজ করেন। কিন্তু ভালোবেসে করলেও কাজ টা অন্যায়মূলক। তাই এর শাস্তি যে অনিবার্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
