সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ছিলেন শিক্ষক, রাতারাতি হয়ে গেলেন ঝাড়ুদার, ৩৪৪ জন শিক্ষকদের নি’য়ে যা ক’র’লো কেরল সরকার

স্কুলের শিক্ষক হলেও রাতারাতি তারা হয়ে গেলেন ঝাড়ুদার। শুধুমাত্র একজন দুজন নয় পুরো ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী রাতারাতি হলে ঝাড়ুদার।

কেরল ঘসরকারের সিদ্ধান্তে এরকম হয়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের হাল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকারের দ্বারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৬ মার্চ।

এই সরকার কেরল রাজ্যে বিভিন্ন শিক্ষক বা শিক্ষকদের বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্রগুলি ছিল সে গুলোকে বন্ধ করবার জন্য তৎপর হন, যার ফলে এই শিক্ষা কেন্দ্র গুলি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ৩৪৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে সাফাই কর্মী পদে নিয়োগ করে এই সরকার।

আরো পড়ুন: ১২২ বছরের ইতিহাস ভে’ঙে গে’লো! আবহাওয়া নিয়ে বি’শে’ষ বা’র্তা মৌসম ভবনের

শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার তালিকায় রয়েছেন তিরুঅনন্তপুরম জেলার অম্বুরি অঞ্চলের কুন্নাথুমালা বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা আশা ঊষা কুমারী। তিনিও সাফাই কর্মী পদে নিযুক্ত হয়েছেন বলেই জেনেছেন।

শুক্রবারেই তার শেষ ক্লাস ছিল এই বিষয় নিয়ে ঊষা জানিয়েছেন, এতদিন পর্যন্ত আদিবাসী পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়োগ ছিলেন,তাই বর্তমানে এই রকম হওয়ার জন্য খুব হতাশ লাগছে।

তিনি আরো জানান, ১৪ কিলোমিটার হেঁটে তিনি তার শিক্ষা কেন্দ্রের পৌঁছাতেন। বর্তমানে তিনি তাঁর শেষ ক্লাস শেষ করেন, তবে সেই মুহূর্তে তিনি বুঝতে পারেননি যে সেটাই তার শেষ ক্লাস ছিল।

এই গোটা বিষয়ে ক্রীড়া শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ হানিস জানিয়েছেন যে, আপাতত যে সমস্ত বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র গুলি রয়েছে সেখানের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এখন প্রয়োজন নেই, সেইজন্য সরকারি সাফাই কর্মী অথবা অন্যকোন পদে নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে যদিও এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা তারা করছেন বলেই জানিয়েছেন।