সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ই’চ্ছে ছিল এয়ার হোস্টেস হওয়ার, একসময় অনিল কাপুর-সলমনের না’য়ি’কা নম্রতা এখন কি করেন?

মানুষ যা চায় খুব কম মানুষই সেটা পেয়ে থাকে। পরিস্থিতির চাপে নিজের সখ ইচ্ছে চাপা পড়ে যায় অচিরেই। আজ সেরকমই এক বলিউড অভিনেত্রীর কথা বলবো যিনি বলিউডে অনেকদিন অভিনয় করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি টোটালি হাউজ ওয়াইফ। এই অভিনেত্রীর নাম হলো নম্রতা শিরোদকর।

তাকে হয়তো অনেকেই চেনেন, কারণ তিনি একটা সময় সঞ্জয় দত্ত থেকে শুরু করে অনিল কপূর, সইফ আলি খান, অজয় দেবগন সকলের সাথেই ছবি করেছেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিলো না তার। তিনি চেয়েছিলেন একজন বিমান সেবিকা হতে। কিন্তু তাঁর মা তাঁকে তার পছন্দের প্রফেশন বাছতে দেয়নি।

তিনি চেয়ে ছিলেন তার দুই মেয়েই অভিনয় জগতে থাকুক। ছোটো মেয়ে শিল্পা এই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক বরাবরই তার। কিন্তু নম্রতা পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল তাই সে বিমান সেবিকা হতেই চেয়েছিল। কিন্তু তার মায়ের অনিচ্ছার জন্য তাঁকে অভিনেত্রী হতে হয়। তাদের মা তাদের দুই বোন নম্রতা এবং শিল্পা— কে নিয়ে এক জনপ্রিয় চিত্রগ্রাহকের কাছে যান নম্রতার মা। তিনি লোকমুখে শুনেছিলেন, বলিউডের নামকরা তারকাদের ছবি তুলেছেন এই চিত্রগ্রাহক।

তিনি দুই মেয়ের ছবি তুলে দিলে তাঁরাও বলি ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতি অর্জন করবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন তাঁর মা। সেখানে তাদের পোর্টফোলিয়ো শুট করা হয়। শিল্পা অভিনয় করবেন বলে অডিশন দিতে শুরু করেন। নম্রতার পোর্টফোলিয়ো তৈরি করা হয় মডেল হিসাবে। আর তাদের ছবি দেখে একটা নামী পোশাক ডিসাইনার তাদের ড্রেস ও বানিয়ে দেন। এভাবেই শুরু হয় মডেলিং এর যাত্রা। তার পরিচিতি খুব তাড়াতড়িই ঘটে তাই একের পর এক হিট ছবি তিনি করতে শুরু করেন।

আরো পড়ুন: অবাক কা’ন্ড! নাক গ’জা’লো হাতে, হত’বা’ক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা

তার ঝুলিতে রয়েছে ‘ পুকার ‘ থেকে শুরু করে পূরব কি লয়লা, পশ্চিম কি ছয়লা’ ছবিতে অক্ষয় কুমার এবং সুনীল শেট্টির মতো নায়কদের সঙ্গে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ পান তিনি। পরে এটি হ্যালো ইন্ডিয়া বলে ছবিটির নাম ঠিক হয় তবে শেষ অবদি প্রকাশ পায়নি। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ‘যব প্যার কিসি সে হোতা হ্যায়’ ছবিটি। সলমন খান এবং টুইঙ্কল খন্না এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এর পর সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘বাস্তব’, দেবগন, মনীষা কৈরালা এবং সইফ আলি খানের সঙ্গে ‘কাচ্চে ধাগে’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।

কিন্তু তার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি দক্ষিণী সিনেমায় পা দেন। সেখানে ২০০০ সালে ‘ভামসী’ নামের একটি তেলুগু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান নম্রতা। এই ছবিতে দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা মহেশ বাবুর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আর এই থেকেই তাদের মধ্যে একটা সম্পর্কের বীজ বোনে বলে জানা যায়। পাঁচ বছর লুকিয়ে ডেট করার পর তারা বিয়ে করেন। তবে লোকমুখে শোনা যায় মহেশ বাবু নাকি বিয়ের পর তাঁকে এই সিনেমা জগৎ থেকে সরে যেতে বলেছেন। তবে এর কোনো প্রমাণ নেই। নম্রতা এই নিয়ে কখনো কিছু বলেন নি প্রকাশ্যে।

আবার কেউ কেউ মনে করেন, মহেশের কারণে নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকের ধারণা, যে অভিনেত্রীরা নাচে দক্ষ, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে যাঁদের সমস্যা নেই, তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছিল। এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবেন না বলে স্বেচ্ছায় অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নম্রতা।

বর্তমানে মাহেশ বাবু ও নম্রতা হ্যাপি কাপল। তাদের ঘরে দুই সন্তান আছে। বিয়ের এক বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নম্রতা। তারও কয়েক বছর পর মহেশ এবং নম্রতার ঘর আলো করে কন্যাসন্তান আসে। আর তাদের নিয়েই নম্রতার সুখী ফ্যামিলি। তার হয়তো বিমান সেবিকা হাওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে মিডিয়ার সামনে হাসি খুশীই দেখি আমরা। তা থেকে অনুমান করা যায় তিনি ভালো আছেন তার বর্তমান জীবন নিয়ে।