ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। একথা যেমন চিকিৎসকেরা জানেন, তেমনি ধূমপায়ী ব্যক্তিরাও জানেন। তবে জেনেও অনেক সময় কিছু করার থাকে না। ধূমপায়ী ব্যক্তিরা ধূমপানের কুপ্রভাব সম্পর্কে জেনেও ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারেন না। ছোটদের মধ্যে এই প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ তাদের সবথেকে বেশি থাকে। তাই ছোটদের সঙ্গে যদি এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা না করেন তাহলে সন্তান বিপথে চলে যেতে পারে।
এমতাবস্থায় অভিভাবক হিসেবে আপনার কর্তব্য হবে সন্তানকে ধূমপানের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা। এর জন্য আপনি আপনার সন্তানকে ধূমপান সম্পর্কিত কু-প্রভাবগুলি জেনে নেওয়ার কাজ দিতে পারেন। সে নিজে থেকে ধূমপানের কুফল জেনে এসে আপনাকে বলবে। কৈশোর অবস্থায় বন্ধু-বান্ধবদের থেকে ধূমপানের প্রস্তাব আসাটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন যে ধূমপানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার মধ্যে লজ্জার কোনও বিষয় নেই।
সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। একজন বন্ধুর মতোই তাকে সঠিক পথে পরিচালনা করুন। আপনার সন্তান যেন তার বন্ধুদের বলতে পারে, ‘আমি ধুমপান করি না’। এমনকি যে স্থানে কেউ ধূমপান করছে সেই স্থান পরিত্যাগ করাটাও কতটা জরুরী সেটাও তাকে বোঝান। পরোক্ষ ধূমপান শরীরের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর। উল্লেখ্য, আপনি নিজে ধূমপান করে যদি সন্তানকে ধূমপান না করার পরামর্শ দেন, তাতে কিন্তু বিশেষ ফল হবে না।
সন্তানের কাছে উপযুক্ত আদর্শ গড়ে তুলুন। সে আপনাকে দেখেই শেখে। অতএব তার কাছে উপযুক্ত উদাহরণ তুলে ধরুন। কৈশোরে ধূমপানের অভ্যাস পরবর্তী ক্ষেত্রে শরীরে কি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে তাকে বোঝান।