সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

খলনায়িকা চৈতালি চক্রবর্তী, টিভির প’র্দা’য় দেখলে সকলেই ছিঃ ছিঃ করেন, অ’তী’ত জেনে নিন অভিনেত্রীর

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে হলে প্রথমেই দরকার সুন্দর চেহারা, সেটা ছাড়া কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। তোমার যতই প্রতিভা থাকুক না কেন তোমাকে সুন্দর হতেই হবে তা না হলে কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। এই মিথ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন চৈতালী চক্রবর্তী। তিনি একজন অভিনেত্রী ইন্ডস্ট্রির নজরে তিনি কালো সবথেকে খারাপ দেখতে। কিন্তু তার প্রতিভার জেড়ে সবাইকে তিনি চুপ করিয়ে দিয়েছেন। কারণ তার জায়গায় তিনি একেবারে অটুট।

দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি এই কাজের সাথে যুক্ত, অনেক ওঠা নামা দেখতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তিনি নিজেকে অভিনয় জগতের অভিমন্যু বলে পরিচয় দেন। তার মাও ছিলেন থিয়েটার অভিনেত্রী, তাই তিনি মনে করেন মায়ের গর্ভে থাকতেই তার মধ্যেও অভিনয়ের বীজ বপন হয়ে যায়। তার মা বাবা, দিদিমা সবাই নান্দীকার নাট্য সংস্থার সদস্য, লিলি চক্রবর্তী যে কিনা তার মাসি। এত নামী দামী পরিবার থেকে তিনি এসেছেন। কিন্তু তার জীবন কি মসৃণ ছিল? না একেবারেই না।

তাকে রীতিমত সংগ্রাম করে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হয়েছে। খুব ছোটবেলাতেই তিনি তার মাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তার মনে সেই অভিনয়ের নেশা ছিল প্রথম থেকেই। অভিনেত্রী থিয়েটারে যোগ দিলেও তাকে দিয়ে নাকি সমস্ত কাজ করানো হত, ফাই ফরমাশ খাটানো হত। কেউ তখন অভিনয়ের সুযোগ দেয় নি তাকে। এদিকে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক নিয়েই পড়াশোনা করেছেন তিনি, কিন্তু সেখানেও তার অপমান পিছু ছাড়ে নি।

আরো পড়ুন: ছোট থাকতেই লা’ঞ্ছ’না’র শি’কা’র, অতীত জীবন সুখের ছি’লো না! উর্ফির কা’হি’নী চোখে জল আ’ন’বে আপনার

তিনি বলেন, তার সহপাঠিরা বলতেন আগে ১০ বছর ভিড়ে অভিনয় কর, তারপর অভিনেত্রী হওয়ার কথা ভাববি। এই কথা তার মন ভেঙ্গে দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু হেরে যেতে তো সে আসে নি। তাই নিজের উদ্যমে আবার কাজ করেছে নিজের ওপরে। যোগ্য প্রমাণ করতেই হবে। প্রথম নাটক ৩ পয়সার পালা, সেটাতে দারুণ সুনাম অর্জন করেন তিনি।

তারপর থেকেই যাত্রা শুরু, অশোক মুখোপাধ্যায়ের একা একাকিনী নাটকের জন্য তিনি পান ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট বেস্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড। জন্মভূমি, সেখানে মাত্র ৫ দিনের জন্য অভিনয় করতে এসে টানা ৫ বছর অভিনয় করেন তিনি। এটাই তার সফলতা, এখনও তিনি নিয়মিত কাজ করে যান।