আমাদের দেশ সম্প্রীতির দেশ। একে অপরের সাথে মিলে-মিশে থাকে সকলে। তবুও মাঝে মাঝে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যে এই সংজ্ঞা আমরা প্রায় ভুলতে বসি। কদিন আগেও ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে বাংলায় খুনো-খুনি অব্দি হয়ে গেছে। আর এই দেশেই আরেক প্রান্তে দেখা গেলো সম্প্রীতির ছোঁয়া। সম্প্রতি একটি কুইজ প্রতিযোগিতা খুবই ভাইরাল হয়েছে বলে জানা যায়।
হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ নিয়ে আয়োজিত একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন দুই মুসলিম ছাত্র। নাম মহম্মদ বশিথ, আর একজন এম মহম্মদ জবির পিকে। দুজনেই কেরলের মলপ্পুরমে থাকেন। দুজনই একই কলেজে বর্তমানে পড়ছেন। তাঁদের বরাবরই রামায়ণ মহাভারতের গল্প শুনতে ভালো লাগতো। বর্তমানে তাঁরা এই ধর্মগ্রন্থ গুলো নিয়েই পড়াশোনা করছে।
তাদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান – অন্য ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ পড়ার ব্যাপারেও আমরা সমান উৎসাহী। কারণ প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থই মানুষকে ভালোবাসার কথা বলে, উদারতার কথা বলে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এম মহম্মদ জাবির বলেছেন রাম অত্যন্ত নীতিবোধসম্পন্ন মানুষ। যা শেখার মত। তাঁর রামকে দারুন লাগে।
তবে দুজনেই মনে করেন ভারতের বাসিন্দা হিসেবে রামায়ণ – মহাভারত জানা জরুরি। কেন না এ থেকে ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও, রামায়ণের মধ্যে থাকা অযোধ্যা কাণ্ডের শ্লোক ঠোঁটস্থ বশিথের। তাঁকে রামায়ণের কোন বিষয়টি বেশি পছন্দ জিজ্ঞেস করলে বলেন – লক্ষ্মণ যখন পরিবারের উপর ক্রুদ্ধ, আর রাম যখন তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ক্ষমতা এবং রাজত্ব এইসব সম্পূর্ন মূল্যহীন, সেই অংশটি সবচেয়ে পছন্দ তাঁর।
এই দুই মুসলিম যুবকই জয়ী হয়েছেন ওই প্রতিযোগিতায়।একটি প্রকাশনী সংস্থা আয়োজন করেছিল প্রতিযোগিতাটি। সেখানে মোট ৫জন প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁর মধ্যে দুই বিজয়ী ছিলেন এই দুই যুবক মহম্মদ বশিথ, ও এম মহম্মদ জবির।