মদ মেশানো জল খেয়ে রীতিমতো মাতাল হয়ে গেল দুই অবলা মোষ। মদ মিশ্রিত জল পান করে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। অসুস্থ ওই দুই প্রাণীর অবস্থা দেখে শেষমেষ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন খাটালের মালিক। ওই দুই প্রাণীর চিকিৎসার জন্য খাটালে পৌঁছেছিলেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাদের সন্দেহ হওয়াতেই তারা পুলিশের খবর দিয়ে দেন। পুলিশ এসে ওই খাটালের খড়-বিচুলির মধ্যে এবং মোষেদের জল খাবার পাত্র থেকে শতাধিক মদের বোতল উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে এক খাটালের মালিক দীনেশ ঠাকুর আচমকা লক্ষ্য করেন যে তার খাটালের দুটি মোষ হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের মুখ দিয়ে সবসময় গ্যাজলা বেরোচ্ছিল। এরপরই তিনি উপায়ন্তর না দেখে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। প্রথমে এক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে কি ওষুধ খাবার পর থেকেই তারা দাপাদাপি শুরু করে দেয়।
এরপর আরেক পশু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ওই খাটালের মালিক। তিনি খাটালে এসে ওই দুটি প্রাণীকে পরীক্ষা করার সময় সন্দেহজনক গন্ধ পান। এরপর তিনি দেখেন যে মোষেদের খাবার জলের বর্ণ কেমন হলুদ হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে মালিককে প্রশ্ন করতে তার জবাব ছিল যে গাছের ডালপালা পড়েই জলের বর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। তবে সন্দেহ হওয়াতে ওই চিকিৎসক পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে যা দেখলো তাতে তাদের চক্ষু চড়কগাছ। ওই খাটালের মধ্যে খড়-বিচুলির মধ্য থেকে হুইস্কি, ভদকা-সহ নানা ধরনের মদের বোতল উদ্ধার হয়। এমনকি জলের মধ্যেও মদের বোতল লুকিয়ে রাখা ছিল। পুলিশের অনুমান কোনোক্রমে মদের বোতল ভেঙে জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে মদ। যা পান করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই দুই প্রাণী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দীনেশ ঠাকুর এবং তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।