কাছের মানুষটাকে কে সারা জীবন আগলে রাখতে চায় না বলুন তো? প্রত্যেকটা মানুষ চায় তাদের ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবন আগলে কাছে রেখে দিতে, কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম একদিন সবাইকে এ তো যেতেই হবে, শুধুই পড়ে থাকবে স্মৃতিগুলো। বৈখালির বাসিন্দা ৬৫ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তাপস শান্ডিল্য তৈরি করেছেন কিছু অন্যরকম গল্প যেটা তাঁর স্ত্রীকে ঘিরে।
তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন কোভিডের দ্বিতীয় ধাপে কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্ত্রীকে তিনি যেন আগলে রাখতে চান তাঁর কাছে। এই কারণেই স্ত্রী ইন্দ্রানী দেবীর মৃত্যুর পর তিনি তৈরি করেছেন গোটা একটা সিলিকনের মূর্তি। যেটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
তৈরি করতে সময় লেগেছে ছয় মাসেরও বেশি। ইন্দ্রানীদেবীর বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা সোফা কাম দোলনা, যেখানে এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তিটি গয়নায় সুসজ্জিত এবং পরনে রয়েছে একটি অসম সিল্ক। এই শাড়িটি ইন্দ্রানী দেবীর বেশ পছন্দের ছিল এই শাড়িতে তিনি পড়েছিলেন তাঁর ছেলের বিয়েতে।
আরো খবর: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বি’বা’দ হলেও সন্তানের দা’য়ি’ত্ব নিতেই হবে বাবাকে! রা’য় দি’লো হাইকোর্ট
মূর্তিটি তৈরি করেছেন সুবিমল দাস। এই গোটা ব্যাপারে তাপস বাবু একটি সাক্ষাৎকারে জানান, বছর দশেক আগে তিনি মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই তিনি একটি ভক্তিবেদান্তর মূর্তি দেখেছিলেন, যে মূর্তিটি দেখে মনের কথা জানিয়েছিলেন ইন্দ্রানী দেবী।
তাঁর ইচ্ছে ছিল তাঁরও এরকম একটি মূর্তি তৈরি করার কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর তারই মূর্তি তৈরি করে করেছেন তাপস বাবু। এইরকম একটি প্রেমের গল্প দেখতে প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন বৈখালীর বাড়িতে।