ডলারের দাম কিছুটা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বছরের প্রথমেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে পারে। এর ফলে হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে এক ধাক্কায় হলুদ ধাতুর দাম। এবছর চিনা অর্থনীতির হাল কিছুটা ভাল হতে পারে এর ফলে সোনার দাম আবার মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই চলে আসতে পারে। আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে বিয়ের মরশুম। এই সময় যদি সোনার দাম বাড়ে তবে মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট দেখা দেবে এবং রাসায়নিক ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে অর্থনৈতিক অস্থিরতার পরিমাণ আরো বাড়বে। এই সময় ডলার নয় বরং সোনার উপরেই ভরসা করবেন মানুষ। আইসিআইসিআই এর রিপোর্ট জানাচ্ছে কমোডিটি মার্কেট ছাড়াও গ্রাহকদের মধ্যেই সোনার গয়নার চাহিদা অনেকটাই বাড়বে চলতি বছর। মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে এর ফলে অনেকে সোনা কিনে মজুদ করে রাখার পথে হাঁটতে পারেন।
২০২২ সালে রিজার্ভ ব্যাংক একসঙ্গে ৪০০ টন সোনা কিনে মজুদ করেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ধারা বজায় রেখে আরো সোনা মজুদ করতে চায় আইসিআইসিআই। ব্যাংকের মতো জনগণ সেই পথে হাঁটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দশ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪৯ হাজারের কাছাকাছি তবে ডিসেম্বরে তা ৫৬ হাজার ছাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ২০২৩ সালে সোনার দাম আরো বাড়তে পারে এমনকি সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে হলুদ ধাতুর দাম। এবছর ১০ গ্রাম সোনার দাম কমোডিটি মার্কেটে ছুঁতে পারে ৬২ হাজারের গণ্ডি
আরো খবর: প্রকৃতির আ’জ’ব কর্মকান্ড, চীনের নদীতে ফুটে উ’ঠ’লো বরফের ফুল
মধ্যবিত্তের জন্য তা মাথা যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। বিয়ের সময় মেয়েকে সোনা দেওয়া মানে অনেকটা নিরাপত্তা দেওয়া কিন্তু সেই নিরাপত্তা হারিয়ে যেতে পারে চলতি বছর। তবে শুধুমাত্র সোনা নয় রুপোর দামও বাড়তে পারে এ বছর এক কেজিতে আশি হাজার টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে রুপোলি ধাতু। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের রেট বৃদ্ধি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে এর ফলে ডলারের দাম অনেকটাই পড়তে পারে।
সোনা এবং রুপো দুটোকেই বিনিয়োগের প্রধান মূলধন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ব্যবসায়ীরা। ইলেকট্রিক যানবাহন ফাইভ-জি মত প্রযুক্তিতে রূপো ব্যবহার করা হচ্ছে এরফলে এর চাহিদা বাড়ছে। ২০২২ সালের উপর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে ১৮% এই বছরেও সেই একই ধারা থাকতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন।