সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রকৃতির আ’জ’ব কর্মকান্ড, চীনের নদীতে ফুটে উ’ঠ’লো বরফের ফুল

আজকাল যেভাবে বিজ্ঞান উন্নত হচ্ছে তাতে আমরা বলে থাকি বিজ্ঞানের অসাধ্য কোনো কাজ নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু কিছু জিনিস ঘটে যা বিজ্ঞানও করে উঠতে পারে না আর সেটাকেই বোধহয় বলে প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ড। সম্প্রতি এরকমই এক বিস্ময়কর ছবি ইন্টারনেটে শেয়ার করেছেন নরওয়ের প্রাক্তন কূটনীতিক এরিক সোলহেইম। ছবিটি উত্তর-পূর্ব চিনের সোংহুয়া নদীর উপরের এক দৃশ্য। যাকে এরিক বর্ণনা করেছেন “বরফের ফুল” নামে। কিন্তু কি এই বরফের ফুল? একটা নদীর মাঝখানে বরফের ফুল কিভাবে হয়? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

মূলত টুইটারে শেয়ার করা ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সোংহুয়া নদীর জলে উজ্জ্বল সূর্যের আলো পড়েছে। সূর্যের রশ্মিগুলি স্বচ্ছ বরফের কাঠামোর উপর প্রতিফলিত হয়ে ফুলের আকার ধারণ করেছে। এই ছবি দেখলে যে কোনও মানুষ মুগ্ধ হবেনই। এরিক নিজেই ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন, “বিস্ময়কর! উত্তর-পূর্ব চীনের সোংহুয়া নদীর উপর বরফের ফুল।” কিন্তু এই বরফের ফুল নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। যেমন আবহাওয়া থাকে সেই অনুযায়ী এই ফুল ফোটে।

সাধারণত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের উপর এই বরফের কাঠামো গঠিত হয়। বরফের ফুল গঠনের সবথেকে ভাল সময় হল শরতের শেষভাগ বা শীতের শুরু। সেই সময় চিনের একটা বড় অংশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে আসে। তবে, মাটির তাপমাত্রা ততটা কমে যায় না। এই তাপমাত্রার পার্থক্যই বরফের ফুল গঠনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে। আর এত সুন্দর ফুল তখনই ফুটতে দেখা যায়। আর এর উপর সূর্যের আলোয় এই ফুলের শোভা যেনো আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

আরো খবর: সামনে বা ছবিতে সুন্দরী মহিলা দেখলেই পু’রু’ষ’স’ঙ্গী হাঁ হ’য়ে থাকে? এভাবে জ’ব্দ করুন

মনে হয় হিরের মত ঝলমল করছে এই বরফ ফুল। তবে শুধুই চিনে নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধ্বংসী তুষার ঝড়ের পর নায়াগ্রা জলপ্রপাত প্রায় হিমায়িত হয়ে গিয়েছে। এই বিশ্ব বিখ্যাত জলপ্রপাতটির জল অধিকাংশই জমে বরফ হয়ে এই বিস্ময়কর দৃশ্য তৈরি করেছে। আর এর মধ্যে ড্রোন ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে জলপ্রপাতটির গোড়ার অংশ বরফ হয়ে সাদা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে ভারী কুয়াশা মিলে জলপ্রপাতটির এক অন্য আবেদন তৈরি করেছে।

আর এই সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলি সকলের সামনে তুলে ধরে নরওয়ের প্রাক্তন কূটনীতিক এরিক সোলহেইম। এরই মধ্যে তিনি হিমাচল প্রদেশের সফরে গিয়ে স্পিতি উপত্যকাকে তিনি লাল রঙের জন্য মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, “মঙ্গল গ্রহে যাত্রা। স্পিতি, হিমাচল প্রদেশ। অবিশ্বাস্য ভারত।”