মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স শ্বেতা যোশী, জয়পুরে আয়োজিত হওয়া মিসেস ইউনিভার্স ২০২২ এর খেতাবজয়ী এই মহিলা, যার একটি ১৯ বছরের মেয়ে রয়েছে এবং তার সাথে রয়েছে ১৫ বছরের একটি ছেলেও।
তাঁর স্বামীর নাম কর্নেল রমন দাহারা, তাঁর স্বামীর চাকরির পোস্টিং হায়দ্রাবাদে, তিনি অমৃতসরের মেয়ে, সেখানেই তার জন্য স্কুল-কলেজ সমস্ত পড়াশোনা।
বিয়ের পরে সংসারের বিপাকে পড়ে ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব সামলে তাঁর নিজের আর স্বপ্ন পূরণ করে ওঠা হয়নি, কিন্তু তিনি সংসারের দায়-দায়িত্ব সামলেও নিজের ফিটনেস চর্চা চালিয়ে গিয়েছিলেন বরাবরই, যে কারণে বর্তমানে যা তাঁকে প্রতিযোগিতায় ফিট থাকতেও অত্যন্ত সহায়তা করেছে।
আরো পড়ুন: এটি গাছের শিকড় না ঠোঁট? এই ছবিটি স’ঙ্গী’র গো’প’ন ক’থা জানিয়ে দে’বে!
এমনকি তাঁর স্বামীও যথেষ্ট সাপোর্টিভ ছিলেন, কিন্তু যখন তিনি দেখলেন ছেলে-মেয়েরা নিজে নিজে জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তখন তাঁর মনে হয়েছিল নিজের জীবনের সুপ্ত ইচ্ছাকে পূরণ করার, আর তখনই তিনি এই কম্পিটিশনের সম্পর্কে শোনান এবং সেখানে পার্টিসিপেট করেন।
View this post on Instagram
শুধু পার্টিসিপেটই করেননি সাফল্যও অর্জন করেন, যদিও তিনি বলেন তাঁর বরাবরই এই ফ্যাশন ফিল্ডের প্রতি আকর্ষণ ছিল, যে কারনে বিয়ের পরও তিনি আর্মি ইভেন্টগুলোতে অনেকবারই পার্টিসিপেট করেছেন।
কিন্তু এরকম ইন্ডিভিজুয়াল ভাবে তিনি প্রথম কোন কম্পিটিশনের নাম দিয়েছিলেন, আর প্রথম বারেই বাজিমাত করে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন যারা ফিটনেসের জন্য মহিলাদের উৎসাহিত করবেন, তাদের সাথে তিনি কাজ করতে চান।
তিনি এখন একজন ইনস্পিরেশন সমস্ত মহিলাদের কাছে, যারা ভাবেন বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সংসার স্বামী বাচ্চা সমস্ত কিছু সামলে নিজের জীবন বলতে কিছু থাকে না। কিন্তু এই ৪২ বছর বয়সেও নিজের স্বপ্নের কাছে হার মানেননি শ্বেতা, তিনি করে দেখিয়েছেন যা দেখে আমাদের প্রত্যেকের উচিত এভাবেই নিজের স্বপ্নকে সফল করা।