আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব শুরু হয়ে যাবে। সারা বাংলা জুড়ে বনেদি বাড়ির পুজোর উপর নজর থাকবে আপামর বাঙালির। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত বালিজুড়ি গ্রামের রায় পরিবারের দূর্গা পূজাও এমনই একটি পুজো। এই পূজার বিশেষত্ব হলো মহাসপ্তমীর বদলে নবমাদিকল্পে আদ্রা নক্ষত্র সংযুক্ত বোধনেশ্বরীতে মায়ের ঘট আনা হয়।
প্রতিবছর ১৫ দিন ধরে রায় পরিবারের দুর্গাপূজা হয়। কোনো বছর মলমাস পড়লে ৪৫ দিন ধরে পূজা চলে। রায় পরিবারের এই পূজা কার্যত ৫৫৫ বছর পুরনো। যমুনা সায়র থেকে মায়ের ঘট এনে পূজা করা হয়। এই পূজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক সাধক। এরপর থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজা হয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকার বাসিন্দারা এই পুজোর আনন্দের উৎসবে মেতে ওঠেন।
পরিবারের সদস্য চন্ডী প্রসাদ রায় জানালেন এই পূজার প্রতিষ্ঠার সময় রায় পরিবারে জিৎ বাহন রায় এবং হীরারাম রায় নামের দুই মহাপুরুষ। বোধনের দিন, মহা সপ্তমীর দিন এবং মহাষ্টমীর দিন বলিদানের নিয়ম আছে। নিয়ম অনুসারে, মহাষ্টমীর দিন এই মন্দিরে বলিদান না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী কোন গ্রামের বলিদান হয় না। মহা নবমীর দিন ছাগ বলির ছাড়াও চাল কুমড়ো বলি, আখ বলি হয়।
রায় পরিবারের এই বিখ্যাত পুজোতে দশমীর দিনেই মায়ের বিসর্জন হয়। বাজি পটকা এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মায়ের বিসর্জন হয়ে। এই পরিবারের নাম ওই এলাকায় বিখ্যাত। বালিজুড়ি গ্রামকে আবার রায় বালিজুড়িও বলা হয়।