সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই প্রথম দেশে গা’ড়ি চালানোর ছাড়পত্র পেলেন তিন ফুটের কে’উ, জানুন কা’হি’নী

সর্বদাই সমাজের হাসির পাত্র হয়ে এসেছে বামনরা, তাদের শারীরিক গঠন সাধারণ মানুষের গঠনের থেকে একেবারেই আলাদা বলে সব সময় তাদের হাসির পাত্রর জায়গাতে রাখা হয়েছে। সমাজ উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এই মানুষগুলোকেও দেওয়া হচ্ছে নানান সুযোগ-সুবিধা যার ফলে সমাজের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এই ধরনের মানুষেরা পৌঁছাতে পেরেছেন এবং সাথে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষের মতো নানান সুযোগ-সুবিধা অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে সমাজ কোথাও-না-কোথাও উন্নত হয়েছে যার ফলে এই সমস্ত মানুষদের একটি যথাযথ জায়গায় সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

দেশে প্রথম গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেলেন একজন ‘বামন’। উচ্চতা ৩ ফুট। বয়স ৪২। তিনি গাট্টিপল্লি শিবপাল। হায়দরাবাদের বাসিন্দা। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল নিজে গাড়ি চালানোর। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ।

এই ধরনের একজন মানুষই নিজের স্বপ্নকেই সত্যিই করল গাট্টি পল্লী শিবপাল বয়স তার ৪২ বছর এবং উচ্চতা ৩ ফুট। বহুদিন ধরেই তার স্বপ্ন ছিল তিনি একজন গাড়িচালক হবেন এই মানুষটির বাড়ি হায়দ্রাবাদে। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে তিনি সমস্ত চেষ্টা করেছেন এবং অবশেষে তার স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়িত করেছেন। মানুষের হাসির পাত্র থেকে তিনি আজ হয়ে উঠেছেন একজন সম্মানীয় ব্যক্তি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শিবপাল বলেন, ‘‘আগে লোকজন আমাকে টিটকিরি দিত আমার উচ্চতার জন্য। এখন আমি খুশি। অনেকের সঙ্গে রেকর্ড বইয়েও আমার নাম উঠবে। গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য আমার মতো অনেকে যোগাযোগও করছেন।’’

প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি আজ সমাজে নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠ করতে পেরেছেন। গাড়ি চালানোর পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং সেখানে পাস করেন অবশেষে। তার ইচ্ছে ছিল তিনি গাড়ি চালানোর জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন এবং গাড়ি চালানো শেখাবেন তার মতো মানুষজনদের।

জীবনসংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে শিবপাল বলেন, ‘‘আমি প্রতিবন্ধী বলে কেউ কাজ দিত না আমায়। পরে এক বন্ধু আমায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ দেন। ওখানেই গত ২০ বছর ধরে কাজ করছি।’’

একটি সংবাদমাধ্যমে শিবপাল জানান, লোকজন আগে তার উচ্চতা দেখেই তাকে হাসির পাত্র বলে মনে করত, কিন্তু বর্তমানে তিনি খুব খুশি কারণ রেকর্ড বইতে একদিন তার নাম জ্বলজ্বল করবে। যে সমস্ত মানুষ আমার মত,তারা এখন গাড়ি চালানো শেখানোর জন্য আবেদন করছে তার কাছে। তিনি আরো জানান তার এই প্রতিবন্ধকতার জন্য তাকে কেউ কাজ দিতনা তবে তার এক বন্ধু আছে যে তাকে একটি বেসরকারি সংস্থাতে কাজে দিয়েছেন এবং সেখানে ২০ বছর ধরে তিনি সেই কাজটি করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই বউয়ের সঙ্গে বাইরে বেরোতাম, লোকে খারাপ কথা বলত আমাদের। ওই সময় ঠিক করলাম, গাড়ি কিনব। গাড়িতে করেই বউকে নিয়ে বেরোব।’’

বউয়ের সঙ্গে যখন শিবপাল বাইরে বের হতেন তখন সবাই তাদের নিয়ে মন্তব্য করতেন এই কারণে তিনি ঠিক করেছিলেন যে একটি গাড়ি কিনবেন এবং সেই গাড়িতে করেই তার বউকে নিয়ে তিনি ঘুরতে বেরোবেন, অবশেষে সেই কাজই করলেন শিবপাল।