সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পুরে মেয়ে এবং কাজ করতে অনীহা কার্যত বেশকিছু সরকারি সংস্থাকে ঋণগ্রস্ত করে তুলেছে। এমতাবস্থায় সে সংস্থাগুলিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে প্রাইভেটাইজেশনের পথ বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে ঋণের দায়ে ডুবতে বসা অপর আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি এয়ারলাইন কোম্পানি এয়ার ইন্ডিয়ার বিকি প্রক্রিয়া একেবারে অন্তিম পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনকে কিন্তু ইচ্ছুক বহু সংস্থা। তবে তাদের মধ্যে থেকে টাটা কোম্পানি সবার আগে এগিয়ে আছে। টাটা গ্রুপ এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনে নিতে ইচ্ছুক। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে চলতি বছরের মধ্যেই টাটা কোম্পানির হাতে দেশের তৃতীয় এয়ারলাইনের চাবি চলে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য এই মুহূর্তে টাটা কোম্পানির হাতে রয়েছে এয়ার এশিয়া এবং ভিস্তারা।
১৯৩২ সালে টাটা এয়ার সার্ভিস শুরু করেছিলেন জামসেদজী টাটা। পরে এই এয়ার সার্ভিসের নাম হয়ে যায় টাটা এয়ারলাইন্স। ১৯৪৬ সালে তা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। ১৯৫৩ সালে সরকার টাটা এয়ারলাইন্স অধিগ্রহণ করে। এরপর প্রায় ৭০ বছর পর ফের প্রাইভেটাইজেশনের পথে এগোচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। আবারো টাটা কোম্পানির কাছেই ফিরতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য এর আগে যখন সংস্থাটি ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋনে ডুবে ছিল তখনো একবার এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির পথে এগিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই সময় বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে সর্ত মেনে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেননি কেউই।