সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে সন্তান সমেত গৃহবধূ বে’পা’ত্তা, গেলেন কোথায় তা’রা?

আমরা ট্রেনে সাধারণত সোনা দানা জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শুনে থাকি কিন্তু বউ বাচ্চা সব কিছু উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা কখনো হয়তো শোনা যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার নয়া দিল্লিগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসে এই ঘটনা বাস্তবিক ঘটেছে। এক ব্যাক্তির স্ত্রী তার তিন নাবালক বাচ্চা নিয়ে স্বামীর কাছে আসছিলেন নয়াদিল্লিতে। সোমবার সঠিক সময় মতো আসানসোল থেকে ট্রেনেও উঠেছিলেন ওই মহিলা জ্যোতি প্রসাদ। তিনি বিকেল চারটে অবধি ফোনে কথাও বলেছেন তার রিলাটিভদের সাথে।

স্বামীর সাথেও কথা হয়েছে তার কিন্তু চারটের কিছুক্ষণ পর থেকেই জ্যোতি প্রসাদকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না ফোনে। তাঁর ফোন সুইচ অফ বলছিলো। এর পর ট্রেন সঠিক সময়ই স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। জ্যোতিকে তার পরিবারের লোক নিতেও আসে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে ও তার ছেলেমেয়েকে। আর এই ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁর স্বামী ও আত্মীয়রা।

আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ বলেন, ‘ পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ‘। কিন্তু এতে নিশ্চিন্ত নন জ্যোতি প্রসাদের স্বামী। আসলে তাঁর নয়াদিল্লিতে বাড়ি। তাঁর স্ত্রী বাংলার মেয়ে ছট পূজা উপলক্ষে সেখানে দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁর ৮ বছরের ছেলে সাহিল কুমার, নয় বছরের মেয়ে পায়েল কুমারী ও চার বছরের মেয়ে সন্ধ্যা কুমারীকে নিয়ে।

আরো পড়ুন: কন্যা সন্তানের জ’ন্ম হলে কো’নো ফি নেন না এই ডাক্তারবাবু, জানুন অ’বা’ক করা ক’থা

আর তাদের বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। মিথিলেশ নয়াদিল্লি স্টেশনের জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসানসোল জিআরপির কাছেও অভিযোগ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা রেলের অনলাইন হেল্প ডেস্কেও অভিযোগ জানান। সেখানে জ্যোতিদেবীর ও তাঁর সন্তানদের ছবিও দেওয়া হয়।

কিন্তু এখনও মেলেনি গৃহবধূ ও তাঁর সন্তানদের। শেষ অব্দি কি হয় এখন সেটাই দেখার। কারণ দূরন্ত এক্সপ্রেসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন থেকে এভাবে গৃহবধূর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা মোটেই শোভনীয় নয়। এতে ট্রেনের সিকিউরিটির উপরও একটা দায় এসে পড়ে। তাই দ্রুত তদন্ত হবে বলে বলা হচ্ছে সূত্র মারফত।