পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা যতবারই পাহাড়ে যান ততবারই খাবার হিসেবে বেশি পছন্দ করেন মোমো আর ম্যাগি খেতে। যদিও অনেকের মতে, পাহাড়ি এলাকায় ম্যাগির স্বাদই নাকি আলাদা হয়। এদের মধ্যে কিছু মানুষ এতই ম্যাগি খেতে পছন্দ করেন যে তাদের অন্য খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা হলেও তারা কিন্তু ম্যাগি ছাড়া অন্য কিছু খান না। আবার কিছুজন তো মোমো বলতে পাগল একেবারে। তারা মোমো খেতে এতই ভালোবাসেন যে গোটা সফরটাই তারা মোমো খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারে।
কিন্তু হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় নানান ধরনের স্থানীয় খাবারও পাওয়া যায়। আর সেই স্থানীয় খাবারগুলি যদি একবার চেখে দেখা যায় তাহলে দেখবেন অন্য কোন খাবার আর খেতেই ইচ্ছে করছে না। আজ নিয়ে এসেছি তেমনই সব পাহাড়ী খাবারের সম্ভার।
১. সেল রুটি :
এই রুটি গুলো দেখতে অনেকটা আংটির মত, এগুলো মিষ্টি পাউরুটি ডুবো তেলে ভাজা হয়ে থাকে।
গরম চায়ের সঙ্গে এই রুটি খাওয়ার মজা আলাদা।
সেল রুটির খোঁজ মূলত সিকিম অথবা দার্জিলিং-এ পাওয়া যায়।
২. সেকুয়া :
সেকুয়া মূলত পাঁঠার মাংসের তৈরি এক খাবার।সাধারণত যারা মাংস ভক্ত তারা এই খাবার খুবই পছন্দ করবে।
স্থানীয় সমস্ত মসলা মাখিয়ে মাংস উনুনে রান্না করা হয়ে থাকে।
অনেক জায়গায় এই সেকুয়া পর্ক বা ল্যাম্ব দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
পোড়া কাঠের গন্ধের সাথে মিশে গিয়ে এই খাবারের স্বাদ যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়।
৩. সিদ্দু :
হিমাচল প্রদেশের জনপ্রিয় এই খাবারটির খোঁজ আগেই পাওয়া গেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে। এটি আসলে পুর ভরা একটি পাউরুটি। মিষ্টি পাউরুটির ক্ষেত্রে পুরে দেওয়া হয়ে থাকে গুড়, পোস্ত এবং ড্রাই ফ্রুটস।
কোন জায়গায় মিষ্টি আবার কোন কোন জায়গায় নোনতা হিসেবে পাওয়া গিয়ে থাকে।
নোনতা পাউরুটির পুরে থাকে মটরশুঁটি সেদ্ধ মেথি, লঙ্কা এবং অন্য মশলা।
সবার আগে মটরশুটি সেদ্ধটাকে সমস্ত মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে তারমধ্যে দেওয়া হয় ড্রাই ফ্রুটস।
যার ফলে আপনি দুই রকমের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
৪. সিমাই ভাজি :
এটিকে এক ধরনের থালিও বলা যেতে পারে।
এই থালির মধ্যে চিড়ে, কালো সয়াবিন, ঝলসানো মাংস, ডালের বড়া এবং অন্যান্য খাবারও থাকে।