সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই জিনিসগুলো আপনার শ’রী’রে’র হাড়কে কুঁড়ে কুঁড়ে খা’চ্ছে! দূ’রে রাখুন নিজেকে

যতদিন যাচ্ছে বিশ্বে রোগের পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। এমন এমন রোগ হচ্ছে যা চিকিৎসা করাও মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে। আমরা দীর্ঘ দু বছর করোনা অতিমারিতে কাটিয়েছি। আফেক্টটেড হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এখন অবস্থা একটু স্বাভাবিক হলেও রোগের কোনো অভাব নেই। তবে এখন একটু চোখ মেলে দেখলেই যে রোগের লক্ষণ সবচেয়ে বেশি মানুষের মধ্যে দেখা যায় তা হলো হাড়ের সমস্যা। আগেকার দিনে বয়স্ক মানুষের হাড়ের সমস্যা হতে আমরা দেখতাম কিন্তু এখন অল্প বয়স্ক মানুষের মধ্যেও বিশেষ করে ৩০ পেরোলেই মহিলাদের মধ্যে হাড়ের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

আর এর প্রধান কারণ হলো শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত কালসিয়াম যাচ্ছে না। বদলে যা সব খাওয়া হচ্ছে সেসব শরীরে গিয়ে আমাদের শরীরের হার গুলোকে আরো বেশি দুর্বল করে দিচ্ছে যার কারণে নানা রকম সমস্যায় আমরা ভুগছি। বিশেষ করে হাঁটুতে ব্যাথা, চলতে বেশি না পারা, কোমরে যন্ত্রণা এগুলো লেগেই থাকছে।

আর এই সমস্যা গুলো হওয়ার প্রধান কারণ হলো না বুঝে উল্টো পাল্টা খাবার খাওয়া। আমরা এখন ইচ্ছে হলেই বাইরের ফাস্ট ফুড, প্যাকেট জাত খাবার খেয়ে ফেলি কিন্তু সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভালো কিনা যাচাই করি না আর তাতেই আমরা নিজের শরীরের সর্বনাশ ডেকে আনছি।

মহানগর কলকাতার এই বি’খ্যা’ত কোম্পানি কি’ন’তে চলেছেন আদানি

এই বিষয়ে MediBuddy-এর মেডিক্যাল অপারেশনের প্রধান ডাঃ গৌরী কুলকার্নিকে হার মজবুত করার উপায় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দ্রুত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ সীমিত করে হাড় মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর করার চেষ্টা করতে হবে। আর তার জন্য একটি সুষম খাদ্য, যার মধ্যে ফল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এগুলো যুক্ত করতে হবে।

বেশি ফাস্ট ফুড খেলে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের পাশাপাশি হাড়ের ক্ষতি হয় এবং তাদের দুর্বল করে দেয়। তাই এগুলো অ্যাভয়েড করাই ভালো। এছাড়াও নুন বা সোডিয়াম ও মিষ্টি যুক্ত খাবার এগুলোও আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সোডিয়াম এবং চিনিযুক্ত খাবার হাড়কে দুর্বল এবং খুব ভঙ্গুর করতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ ক্যালসিয়াম নির্গমনকে ত্বরান্বিত করে, যা হাড়ের খনিজ ঘনত্ব হ্রাসের সাথে সরাসরি যুক্ত। একইভাবে, অনেক ভাজা খাবার প্রদাহ এবং জ্বালা বাড়াতে পরিচিত, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হাড়ের সুস্থতার জন্য অ্যালকোহল কিন্তু ছাড়তেই হবে।

অ্যালকোহলের সঙ্গে যে কোনও ধরণের খাবার গ্রহণ করলে এতে উপস্থিত খনিজ এবং পুষ্টিগুলি শোষণ হয় না, কারণ অ্যালকোহল ক্যালসিয়াম শোষণে হস্তক্ষেপ করে ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও বেশি মাত্রায় ভিটামিন এ খেলে সেটাও শরীরে ক্ষতি করে। আর এই গুলো মাথায় রেখে এগুলোকে বাদ দিয়ে তাতে সুষম খাবার, শাক সবজি, কম ফ্যাটযুক্ত খাবার নিয়ে নিজের ডায়েট চার্ট বানালে অনেকটাই হাড় ক্ষয় থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।