হিন্দু শাস্ত্র মতে চানক্যকে সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, কূটনৈতিক, ও জ্ঞানী মানুষ বলে জানা যায়। তাঁর বলা কথা বা নীতি বেদবাক্যের সমান। সমাজের প্রতিটি বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল তাঁর। তিনি জীবনের সকল বিষয়কে গভীরভাবে ভাবনা চিন্তা করেছিলেন তাই মানুষের জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও প্রদান করেছেন। সর্বোপরি, চাণক্য নীতিতে এমন অনেক প্রসঙ্গের উপস্থাপিত করা হয়েছে, যেগুলি মেনে চললে একজন ব্যক্তির জীবনে বহু কাজে লাগে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চাণক্যের কিছু নীতি।
১. সুযোগসন্ধানী মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন :- চাণক্য নীতি অনুযায়ী একজন সুযোগ সন্ধানী মানুষের থেকে সব সময় দূরে সরে থাকা উচিত। কারণ পরিস্তিতি যেমনি হক সেই মানুষটা সব সময় নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে তোমায় বোঝাবে। এরা এতটাই ভয়ংকর হয় যে নিজের সুবিধার জন্য অন্যকে আঘাত করতেও এদের বাঁধে না।
২. ঈর্ষাকাতর ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য না চাওয়াই ভালো :- জীবনে অনেক কঠিন সময় আসে যখন পাশে একটা মানুষ পেলে ভালো হয়। মনে হয় যদি একটু সাহায্য পাওয়া যেত। কিন্তু আপনি যদি কোনো ঈর্ষাকাতর মানুষের সাহায্য পার্থনা করেন তাহলে সে আপনার ভালো কোনোদিন করবে না। সামনে থেকে হয়তো দেখাবে এমন যে, সে আপনার ভালো চায় বা ভালো করতেই চাইছে কিন্তু পিছনে আপনাকে ছুরি বসাতে এরা দুবার ভাবে না। তাই সাহায্য না পেলেও এদের থেকে সাহায্য নেবেন না।
আরো পড়ুন: নতুন আইফোন আসতেই এই মডেল ব’ন্ধ হতে চলেছে, আপনার হা’তে নেই তো?
৩. অতিরিক্ত রাগীদের থেকে দূরে থাকুন :- চাণক্য বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি ক্রোধে পরিপূর্ণ থাকেন, তাঁরা কখনোই কারোর ভালো করতে পারেন না। আর সেই কারণেই এই ধরণের ব্যক্তিদের কাছ থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখুন। এরকম মানুষের থেকে শত্রু থাকা অনেক ভালো। কারণ এরা নিজেদের আনন্দের জন্য বা ইচ্ছে পূরণের জন্য অন্যের সাথে খারাপ করেন। আর কারো ক্ষতি হচ্ছে দেখলে বেশি আনন্দ পান। তাই এমন মানুষের থেকে সব সময় উচিত দূরে থাকা।