কোনো মন্দিরে পূজো দেওয়ার ইচ্ছে হলে আমরা সাধারণত সেই মন্দিরে গিয়ে পূজো দিয়ে আসি কিন্তু আজকাল সবই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যখন করোনা মহামারীর সময়ে মানুষ কোথাও যেতে পারছিলেন না, মন্দির বন্ধ সেই সময়ে অনলাইনে মানুষ তাঁর কাঙ্ক্ষিত দেবতাকে পূজো পাঠাতে শুরু করেন।
এরকম অনেক সংস্থাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল যারা টাকার বিনিময়ে মন্দিরে পূজো পাঠান। আর এই রকম ভাবে পূজো পাঠানো হয় আর পাঁচটা মন্দিরের মতোই তারাপীঠেও। অনেক ভক্ত তাদের পূজা এভাবেই পাঠিয়ে দেন বলেও জানা যায়। কিন্তু মায়ের কাছে সেই পূজো আদৌ যায় কিনা কেও জানে না। আর সেই জন্যই সতর্ক হওয়া খুব প্রয়োজন।
সম্প্রতি তারাপীঠ মন্দির কমিটির সেবাইত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে অনলাইনে পুজো দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হয় না। অথবা যারা অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরের কোন সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগতভাবে এই সকল ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া চালানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন: পুনরায় ভারত-চীন বৈ’ঠ’ক, কি বি’ষ’য়ে এবার আলোচনা হবে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তারাপিঠে মা তারার পূজো প্রতিটা পুজোতেই করা হয়। দুর্গা পুজোয় দুর্গা, লক্ষ্মী পুজোয় লক্ষ্মী, জগদ্ধাত্রী পুজোয় জগদ্ধাত্রী রূপে পূজা করা হয়। ঠিক তেমনি দীপাবলিতে তারা মাকে দেবী কালী রূপে পুজো করা হয়।
এবার যদি কেউ কালীপুজোয় তারা মায়ের অনলাইনে পুজো দেওয়া নিয়ে পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সতর্ক হন। এবং পূজো দিতে হলে কষ্ট করে মায়ের কাছে গিয়েই দিয়ে আসুন। নয়তো বাড়িতেই মায়ের আরাধনা করুন।