সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শুধু মমতা ন’য়! এ’বা’র প্রধানমন্ত্রীর দা’বি’দা’র আ’রো এ’ক মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন

মোদীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার এনডিএ শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রীই। মমতার পর এবার বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে খোদ শাসক জোটের মুখ্যমন্ত্রীর দল। প্রধানমন্ত্রী এবার বন্ধু দলের তরফেই চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে জোট বাঁধার চেষ্টায় দেশের বিরোধী দলগুলো। অন্যদিকে গেরুয়া জোটের অন্দরেই কৌশলে বেসুরো শরিক। প্রকাশ্যে পাত্তা না দিলেও পদ্ম নেতৃত্বের কপালে বাড়ছে চিন্তার ভাঁজ।

২০২৪ সালকে নজরে রেখে ইতিমধ্যেই জোট গড়ে মোদী সরকারকে উৎখাতে উদ্যোগী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাদল অধিবেশনে সংসদের অন্দরের সরকার বিরোধীতায় বিরোধী ঐক্যের ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তার বাইরেও রণকৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসেছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। বিরোধী জোটই বিজেপিকে সরাতে একমাত্র বিকল্প বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অবশ্যই জোটের সতলে পাকাকে কাঠবিড়ালির ভূমিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

খোদ এনডিএ-র শরিক দল এরই মধ্যে দেশের আরও একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও দেশ শাসনের যোগ্য বলে তুলে ধরতে চাইছে। কেন্দ্রের বিজেপিকে চাপে ফলতেই নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর এই প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের এনডিএ শরিক হলেও জেডিইউ-এর সঙ্গে গেরুয়া দলের সম্পর্ক যে খুব মসৃণ তা নয়। দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রীরিসভায় প্রথম দু’বছর কোনও পদ দেওয়া হয়নি বিহারের এই শরিক দলকে। গত মাসে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হলে অবশ্য সেখানে ঠাই হয় নীতীশের দলের সাংসদদের।বিহারের এই শাসক দলটি যদিও তার আগে সাংসদ সংখ্যার বিচারে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাকা করতে তাপ বাড়িয়েছিল।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধরণের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ ভুলে দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বড় হয়ে উঠেছে বিরোধী জোটের মুখ কে? যদিও ইতিমধ্যেই এর জবাব দিয়েছেন মমতা। মমতা জানিয়েছেন আগে লক্ষ্য স্থির করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই, পরে নেতৃত্বের মুখ নির্ধারণ করা হবে। তিনি নিজে যে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই বিরোধী জোটের নেতাদের সেই বার্তাও দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে ‘দেশের পরবর্তী বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’ বলে প্রচার চলেছে। জোড়া-ফুলে কার্যত চাপ বাড়িয়ে দলনেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রস্তুত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে সংবাদ মাধ্যম কে জাতীয় মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেছেন, “নীতীশজি প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই, কিন্তু তাঁর মধ্যে দেশ শাসনের নেতৃত্বদানের সব ক্ষমতা রয়েছে। এই বিষয়টি দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রাস্তাব আকারে পাস করানো হয়েছে।”