সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বের সবথেকে ছো’ট দেশ! আছে নি’জ’স্ব পতাকা-মুদ্রা ও পাসপোর্ট, জনসংখ্যা মা’ত্র ২৭

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশ যেমন রয়েছে, ছোটো দেশও রয়েছে। বেশিরভাগ লোকই জানেন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হয়তো ভ্যাটিকান সিটি। কিন্তু বর্তমানে জানা গেছে ভ্যাটিকান সিটির থেকেও ছোটো একটি দেশ রয়েছে। যার আবার নিজস্ব পতাকা, রাজধানী, পাসপোর্ট, মুদ্রা, রাজা, রানী, জনগণ সবকিছুই রয়েছে। এই সব চেয়ে ছোটো দেশটি হলো ‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড’। সংক্ষেপে এটিকে বলা হয় ‘সিল্যান্ড’।

এটি অবস্থিত হয়েছে ইংল্যান্ডের সমুদ্রতীর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। একে মাইক্রো নেশন বলা হয়ে থাকে। ক্ষুদ্রতম এই দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ স্কয়ার মিটার। ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই রাষ্ট্রটির অবস্থান। দেশটিতে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। তবে বাইরের কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না।

এই দেশের জনসংখ্যা আরও অবাক করার মত। আমাদের দেড়শো কোটির দেশ যা জানলে হাসি পাবে। সিল্যান্ডের জন সংখ্যা মাত্র ২৭ জন। এই দেশটি বানানোর পিছনে একটি নির্দিষ্ট কারণ ছিল। আসুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। যত দূর জানা যায় এটি আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর।

আরো খবর: শকুন্তলা সা’জ’তে সামান্থা কত কোটির সোনা-হীরের গহনা পরেছেন? জানলে চ’ম’কে উঠবেন

জার্মান সেনারা যেকোনো সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকূলভাগে সমুদ্র দূর্গ বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হলো মউনশেল সি ফোর্ট।

সেখান থেকে শত্রু যুদ্ধ জাহাজগুলোর ওপর নজরদারি করা হতো। প্রয়োজনে শত্রু জাহাজে আক্রমণ পরিচালনার কাজও চলতো। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটাকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এই দেশের আবার রাজাও ছিল।

বলা হয় ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডাজ রায় বেটস এবং তার পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকারী হোন। তারপর তারা এটাকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে দেন। এখানে এর পর থেকে আরো অনেক মানুষ রাজত্ব করেছেন। ৯ অক্টোবর ২০১২ সালে রয় বেটসকে এখানে রাজা বলে ঘোষণা করা হয়।

আর তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মাইকেল এখন এর শাসক হন। তবে এই সিলান্ড স্বীকৃতি না পেলেও কেও এর বিরোধিতা করেন নি। এখানে এখনও ২৭ জনের বসবাস রয়েছে। মাইক্রো নেশন হিসেবে বিশ্ব জুড়ে পরিচিত এই ‘প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড।