সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হিন্দু শব্দের অ’র্থ খুবই নোং’রা, বি’ত’র্কি’ত ম’ন্ত’ব্য করলেন কংগ্রেস নেতা

আমাদের দেশে কত জাতির কত মানুষই না বসবাস করে। সকলকে নিয়েই ভারতবর্ষ। সমস্ত জাতির, ধর্মের প্রতি সন্মান রেখে আমরা চলি। আর সেখানে কোনো একটি জাতি বা জাতি বিষয়ক মন্তব্য বা আক্রমন কোনো জাতিই মেনে নেবে না। সম্প্রতি সেরকমই একটি মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বেলগাঁও জেলার নিপানিতে রবিবার ‘মানব বন্ধুত্ব বেদিকে’ আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কর্ণাটকের কার্যকরী কংগ্রেস সভাপতি সতীশ জারকিহোলি দাবি করেন ‘হিন্দু’ শব্দটি ফার্সি। তিনি বলেন, ‘হিন্দু শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে? এটা কি আমাদের? এটি ফার্সি শব্দ।

ইরান, ইরাক, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান অঞ্চল থেকে এসেছে এই কথাটি। ভারতের সঙ্গে হিন্দু শব্দের সম্পর্ক কী? তাহলে কীভাবে এটা মেনে নেবেন? এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত।’ আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে যত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চর্চা। সতীশের কথা অনুযায়ী, ‘অন্য জায়গা থেকে একটি শব্দ এবং একটি ধর্ম আমদানি করে জোর করে এখানকার মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ অর্থাৎ তিনি বলতে চান এই হিন্দু শব্দটি আমাদের নিজের দেশের শব্দ নয়।

অন্য জায়গার শব্দ নিয়ে আমরা মাতামাতি করে থাকি। এখানেই শেষ নয় তিনি আরো বলেন যে, এই কথা সে নয় স্বয়ং স্বামীজি বলে গেছেন। তিনি বলেন, উইকিপিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ দেখুন, এই শব্দটি (হিন্দু) কোথা থেকে এসেছে? এটা আমাদের না। তাহলে এই শব্দকে এত উচ্চ পদে বসিয়েছেন কেন? আপনি যদি এর অর্থ বুঝতে পারেন তবে আপনি লজ্জিত হবেন। হিন্দু শব্দের অর্থ খুবই নোংরা। আমি এটা বলছি না, স্বামীজি বলেছেন, এটা ওয়েবসাইটে আছে।’

আরো পড়ুন: মাত্র ২৮০ টা’কা’য় পান ৩.৮ কোটির তিনতলা বাড়ি! জানুন বি’শ’দে

কিন্তু তার এই মন্তব্যকে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই মেনে নেয়নি। অনেকেই এই কথার প্রতিবাদ জানিয়েছে। অনেকেই বলেছেন তার থেকে এমন কথা আশা করা যায়না। আবার অনেকেই জারকিহোলির বিবৃতিটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত।

আমরা এই মন্তব্যের দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাই’ বলেছেন। এই বিষয়ে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইটে লেখেন, ‘হিন্দুধর্ম একটি জীবনধারা এবং একটি সভ্যতার বাস্তবতা। কংগ্রেস প্রতিটি ধর্ম এবং বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য আমাদের দেশকে তৈরি করেছে। এটাই ভারতের সারমর্ম।’