রুট ক্যানেল সার্জারির পরে ভয়ঙ্কর রূপ হয়েছে কন্নড় অভিনেত্রী স্বাথী সতীশের। অভিনেত্রী ইন্ডিয়া টুডেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং যেখানে তিনি তাঁর বর্তমান কষ্টের কথা জাহির করেছেন।
গোটা ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ টাইমলাইন তিনি দিয়েছেন অভিনেত্রী জানান, ২৮ শে মে তিনি রুট ক্যানেল চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর দাবি যে রুট ক্যানেল চিকিৎসা তার সম্পূর্ণভাবে করা হয়নি, মুখে যেরকম ফোলা ভাব চলে আসে যার কারণেই চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রাখতে হয়।
অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি অস্ত্রপচার করার সময় কোন রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন কিনা? এ ব্যাপারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি কোন ডেন্টিস্ট নন তাই কিভাবে চিকিৎসা করা হবে বা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কোনরকমে মন্তব্য করতে চান না।
তবে অন্য ডেন্টিস্ট তাকে কি সাজেশন দেবেন তা একবার পরামর্শ নিয়েছিলেন কিন্তু সেই ডাক্তার আমাকে দিয়েছিল সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড এর ইনজেকশন ইনজেকশনটা। যখন দেওয়া হয় তখন তিনি ভীষণ কেঁদেছিলেন, এমনকি চিৎকার করে উঠে ছিলেন, এরপরে অভিনেত্রীকে দেওয়া হয়েছিল এনেস্থেসিয়ার ইনজেকশন।
এই গোটা বিষয়ে মনে করা হচ্ছে যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়েছে। এই বিষয়ে দ্বিতীয় চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রথমে উচিত ছিল এনেস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশনটা দেওয়ার পরেই সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড।
অভিনেত্রী জানান, চিকিৎসা ক্ষেত্রে যখন তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল এবং তার মুখ ফুলে গেছিল তিনি ভীষণ কেঁদেছিলেন তারমধ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভুল হতেই পারে কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটি ডিফেন্স ছিল যখন ফুলে উঠছে মুখ দেখে যদি স্যালাইনের ইনজেকশন দিতেন তাহলে হয়তো এতটা ফুলতো না।
বাড়ি গিয়ে শুয়ে পড়ার পর যখন সকালে অভিনেত্রী ঘুম থেকে ওঠেন তখন দেখেন তাঁর মুখ একেবারেই বদলে গেছে। ভুল চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেবেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাতী জানিয়েছেন, শারীরিক ভাবে তিনি একেবারে সুস্থ কিন্তু তাঁর ঠোঁট একেবারেই সঠিক আকারে কিছুতেই আসছে না, এমনকি এই কারণে তিনি হাসতে ভুলে গেছেন।
ঠোঁটের কোন সার নেই ডাক্তারের মত অনুযায়ী এই ব্যাপারটি থেকে সুস্থ হতে এখনও পর্যন্ত এক মাস সময় লাগবে। তবে গোটা বিষয়ে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে আগে কথা বলবেন, তারপর এই মামলাটি করবেন ডাক্তারকে আইনি নোটিশ পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এইরকম একটি বড়সড় রকমের পরিবর্তন অভিনেত্রী জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলবে এ ব্যাপারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই ধরনের চেহারার কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত তিনি, মডেলিং অনেক অর্ডার, এসাইনমেন্ট, সিরিয়াল সমস্ত কিছু থেকেই তিনি আজ বঞ্চিত হয়েছেন। এই গোটা ব্যাপারটি উপর ভিত্তি করে অভিনেত্রী সকলকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন যে কোনো রকম সমস্যা হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া উচিত কোন ক্লিনিকে যাওয়া উচিত নয়।
