সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ব’ন্ধ করতেই আকাশছোঁয়া দা’ম বৃ’দ্ধি বাংলাদেশে

রমজান শেষ হয়েছে ঠিকই, তবে দেশের বাজারে হু হু করে বেড়েই চলেছে রান্নাঘরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই উপকরণের দাম। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ফলে আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। গত মার্চ মাসে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় ৬ মে থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কৃষিমন্ত্রক। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

গত ৩মে ঈদের আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আমদানি বন্ধে সংকটের অজুহাতে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। কিন্তু বাংলাদেশে এবার পর্যাপ্ত পেঁয়াজও উৎপাদন হয়েছে এবং ভারতীয় পেঁয়াজেরও মজুত রয়েছে যথেষ্ট। তবুও আমদানি বন্ধের মাত্র ছয়দিনের মাথায় সংকট পড়ার কথা না।

আরো পড়ুন: দুটি পাইথনকে নি’য়ে নাচানাচি যুবকের, রইলো ভিডিও

আর এ প্রসঙ্গে দাবি উঠেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত মুনাফা করতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে।যশোর স্থলসীমান্ত বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন বলেন, “গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল কর্তৃপক্ষ।

নতুন করে আর অনুমোদন না মেলায় আমদানি বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে তা জানানো সম্ভব নয় এখন।” বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ চলতি মাসের ৫ মে পর্যন্ত ছিল। এরপর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি চালু হলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অতিরিক্ত দাম বাড়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। সেই অভাব পূরণ করতে আর দাম মধ‌্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছিল ঢাকা।

বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন‌্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনোভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না।