সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জামাইষষ্ঠীর আ’গে’ই বা’জা’রে ইলিশের ছ’ড়া’ছ’ড়ি! জেনে নি’ন দা’ম

ইতিমধ্যেই বাংলায় আস্তে আস্তে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়ছে বর্ষা। বর্ষা মানেই বাঙালির পাতে ইলিশ পড়ার সময় হয়ে এসেছে। প্রতিবারের মত ভোজন রসিক বাঙালি দের কাছে ইলিশের চাহিদা একেবারে আকাশ ছোঁয়া। তারমধ্যে কাল আবার জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠী স্পেশাল ইলিশ মাছ প্রত্যেকের ঘরে ঘরে হবে। তাই এইরকম সময়ে ইলিশ প্রেমিকদের জন্য সুখবর। বাজারে এলো মায়ানমারের ইলিশ।

হাওড়া ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এই বিষয়ে জানান যে, ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে আনা হয়েছে ১৫০ মেট্টিক টন ইলিশ মাছ। কলকাতা সমস্ত বড় বড় বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। মায়ানমারের ইরাবতী নদী এবং বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশের মধ্যে সেই রকম কোন ফারাক নেই। তবে পদ্মার মতো টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়না ইরাবতী নদী তে। মায়ানমার থেকে ইলিশ মাছ জাহাজে করে নিয়ে আসতে হয়, তাই এটি সাধারণত বরফের ইলিশ মাছ হয়।

ইলিশের মাছ খুচরা বাজারে বারোশো থেকে তেরোশো টাকা হবে। মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি এই প্রসঙ্গে জানান, 15 ই জুন থেকে পাওয়া যাবে সমুদ্রের ইলিশ মাছ। মহামারী এবং লকডাউনের কারণে এখনো পর্যন্ত বাঙ্গালীদের পাতে ইলিশ মাছ সেই ভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর লকডাউন এর কারণে মৎস্য শিকারের জন্য সমুদ্র যাওয়া হয়নি মৎস্যজীবীদের। জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে যতটুকু ইলিশ কলকাতাসহ শহরতলীর মাচ বাজারগুলিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেটি আপাতত আনা হয়েছে উড়িষ্যা রাজ্য থেকে।

দিঘা সমুদ্রের এখনো পর্যন্ত ইলিশ মাছের দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিক্রেতা থেকে ক্রেতারা সকলেই চিন্তায় রয়েছেন। ইলিশ মাছের দেখা না পেয়ে হতাশ মৎস্য প্রিয় বাঙালি। তবে এবার সেই হতাশার নিবারণ হতে চলেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই রুপালি শস্যের দেখা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।