সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হা’ম’লা’র হাত থেকে বাঁচতে দী’র্ঘ ৩২ বছর পুরীর রথযাত্রা ব’ন্ধ ছিলো, জানুন পু’রো কাহিনী

জগন্নাথ ধাম পুরি যেখানে মানুষজন রথ যাত্রার সময় ভিড় জমায়। হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে গিয়ে উপস্থিত হন পুরীর রথযাত্রা দেখার জন্য। কিন্তু অতীতের ইতিহাসে বারবার উঠে এসেছে পুরীর রথ যাত্রাতে হামলার শিকার। হামলার কারণে প্রায় ৩২ বছর ধরে বন্ধ ছিল পুরীর রথযাত্রা।

ইসলামিক শাসকদের হামলার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল ৩২ বছর পুরীর রথযাত্রা। এবার আসুন জেনে নিই পুরীর রথযাত্রা সংক্রান্ত কিছু ইতিহাসের কথা। ১৫৬৮ সালে বা রাজা সুলেইমান কিরনের জেনারেল কালাপাহাড় আক্রমণ করেছিল পুরী জগন্নাথ মন্দির ১৫৬৮ একটি থেকে ১৫৭৭ সাল পর্যন্ত পুরীর রথযাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

১৬০১ সালে পুরীর মন্দিরে আক্রমণ করেন তৎকালীন বাংলার নবাব কমান্ডার মির্জা খুররাম, এই সময়ে মন্দিরের মূর্তি গুলোকে রক্ষা করার জন্য পুরি থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে কপিলেশ্বর পঞ্চমুখী গোসানি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়।১৬০৭ সালে যখন উড়িষ্যার মুঘল সুবেদার কোয়াসিম খান জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালায়।

এর ফলে সেই বছরও পুরীর মন্দিরের বন্ধ ছিল। ১৬১১ সালেও এই পুরীর মন্দিরের রথযাত্রা বন্ধ রাখা হয় এসময় আকবরের সভার শতদলের ছেলে কল্যাণ মল উড়িষ্যা সুবেদার হয়ে জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালিয়ে ছিলেন হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য সেই সময় পুরীর মন্দিরের মূর্তি গুলোকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল চিলকা হ্রদের মাহিসানসিতে।

১৬১৭ সালের জগন্নাথ মন্দিরে এক হামলা হয় যার ফলে সেই বছরও রথযাত্রা বন্ধ থাকে ১৬২১ এবং ১৬২২ সালেও রথযাত্রা বন্ধ থাকে। এই সময় মুসলিম সুবেদার আহম্মেদ মন্দিরে হামলা করেছিল।

১৬৯২ সালে মন্দিরে হামলা চালায় ওড়িশার মুঘল কমান্ডার আকরাম খান। সময়ে মন্দিরের মূর্তি গুলোকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল চিলকা হ্রদের এর কাছে। এই হামলার ফলে প্রায় ১৩ বছর ধরে রথযাত্রা বন্ধ ছিল।

১৭৩৪ সালে মন্দিরে আবার হামলা চালায় ওড়িশার ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ তাকী খান,এবং যার কারণে সেই বছর অনুষ্ঠিত হতে পারেনি পুরীর রথযাত্রা। ১৭৩৩ সাল থেকে ১৭৩৫ সাল পর্যন্ত পুরীর রথযাত্রা বন্ধ ছিল কারণ পুরীতে সেইসময় হামলা চালিয়েছিল তাকি খান।