বর্তমানে খবরের শিরোনামে রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলী। ২০১৯ সালে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলীকে, কিন্তু সেই দায়িত্ব থেকেও এবার বঞ্চিত করা হলো তাকে আইসিসিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তার যাওয়া হচ্ছে না, কারণ তিনি বিসিসিআই থেকে আর সমর্থন পাবেন না। এইরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে যে রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে তা কিন্তু বুঝতে বাকি নেই কারোরই। বলতে গেলে তিনি বিজেপি দলের রাজনৈতিক শিকার হয়েছেন।
বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্যই মনে করা হচ্ছে যে তাকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌরভকে আইপিএলের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব আর নিতে চাননি। এবার পুরো বিষয়টা নিয়েই তিনি মুখ খুললেন কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে। তিনি সমস্ত কিছুই পরিষ্কার করে বললেন কলকাতার বন্ধন ব্যাংকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি নিজের জীবনের কথার বিষয়ে কিছু জানালেন সাংবাদিকদের তিনি বলেন,” ক্রিকেটে একবার যদি শতরান করা যায় তবে পরেরদিন বিশ্বাস করা যায় যে নেমে ভালো খেলতে পারব নিজের কাছে সেই ক্ষমতাটা এখনো পর্যন্ত রয়েছে আমার। গোটা জীবনটাই বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সবাইকেই একটা না একটা সময়ে পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়। সবাইকে বঞ্চিত হতে হয়, আবার সবাইকে পুরস্কৃত হতে হয় এটাই জীবনের নিয়ম”।
আরো পড়ুন: তারা সকলেই স্টারকিড, তবুও অভিনয়কে পে’শা হি’সে’বে নেননি, গড়েছেন নি’জ’স্ব পরিচয়
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান,” তিনি এরপর থেকে অন্য কিছুতে নিজের মন দেবেন।” বিসিসিআই ছাড়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। খবর সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞাপন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে বোর্ড কর্তারা খুশি না থাকার জন্যই এরকম হয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডের স্পন্সরের প্রতিদ্বন্দ্বি সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন এবং যেটা ভালো চোখের তারা নেননি।
ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদ, সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধি জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার ফলে সৌরভের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছে। তিনি জানান যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে নিশ্চিত করেছিলেন যে তাকে জাতীয় দলে সুযোগ করে দেবেন।
সূত্রের খবর জানা যাচ্ছে সমস্ত কিছু এখন সৌরভের বিপক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে এই রকম একটি সময়ের সৌরভের নিন্দা করেন সিএবি প্রাক্তন সচিব। তিনি জানান,” আমি সৌরভকে পরামর্শ দেবো যাতে বড় পদ থেকে বিজ্ঞাপনের বাইরে যেতে হয়। আজ একবার দেখি মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন আর কখনো দেখা যাচ্ছে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।”
