পৃথিবীতে সাপের বহু প্রজাতি রয়েছে। এমন অনেক প্রজাতি রয়েছে যার নাম হয়তো আমরা কোনদিন শুনিনি। আর এটি বহু মূল্যবান সাপের কথা আপনাদের বলতে চলেছি যার অবস্থান কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষের উত্তরপ্রদেশে। সাপটির গায়ের রং পোড়া ইটের মতো। উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর থেকে গড়মুক্তেশ্বর সংলগ্ন এলাকায় এটির দেখা পাওয়া যায়। শান্তস্বভাবের এইসব আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু অত্যন্ত মূল্যবান। একটি সাপের দাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
মূলত মাটির নিচে বেশিরভাগ সময় থাকে এই সাপ। এই সাপের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। তবে এদের মধ্যে যে সাপগুলির গায়ে হালকা হলুদ এবং লালের মিশ্রন রয়েছে, সেগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। এই সাপের চোরাচালান বর্তমানে বিপুলভাবে বেড়ে গেছে।
কিন্তু কেন এত টাকা দিয়ে কিনতে হয় এই সাপকে? আসলে উত্তর প্রদেশ, বিহার মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকে এই সাপ আন্তর্জাতিক বাজারে পাচার হয়ে যায় বলে মনে করা হয়। ভারত সরকার এই প্রাণীটিকে সংরক্ষিত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৭২ সালে। এটির বিপুল পরিমাণ দামের কারণে শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ বানাতে এই সাপের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আবার অনেকের প্রচলিত বিশ্বাস, বয়সের ছাপ পড়বে না বলে এমন গুণ ও আছে এই সাপের গ্রন্থিতে। তাছাড়া এই সাপের মধ্যে নাকি সৌভাগ্য বৃদ্ধির এমন একটি ক্ষমতা রয়েছে, যার অধিকারী আপনিও হতে পারেন। যৌন শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ ছাড়াও এই সাপের চামড়া জুতা, বেল্ট জ্যাকেট এবং পার্স তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
