সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে গাজিয়াবাদে সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা। স্রেফ সম্পত্তির লোভে নিজের পরিবারের 5 জন সদস্যকে খুন করলেন এক ব্যক্তি। অবশেষে গাজিয়াবাদ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ওই ব্যক্তি। 48 বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম লিলু ত্যাগী। তার নিজের ছেলে যাতে সব সম্পত্তি পায় সেই জন্য সে তার পরিবারের সদস্যদের একে একে নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই পর্যন্ত বুঝতেই পারেননি যে এই ঘটনার পেছনে লিলু জড়িত। তার ছেলে বিভোর যাতে পরিবারের সব সম্পত্তি পায় সেই জন্য পরিবারের সমস্ত উত্তরাধিকারদের একে একে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে সে।
প্রথমে নিজের বড় ভাইয়ের সুধীরকে টার্গেট করেছিল লিলু। 2000 সালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর দাদার স্ত্রী অনিতাকে বিয়ে করে নেন লিলু। কিন্তু সুধীরের সম্পত্তির উত্তরাধিকার ছিলেন তার দুই মেয়ে। তাই প্রথমে তার বড় মেয়ে পায়েলকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে লিলু। সবাইকে বলে পোকার কামড়ে মারা গিয়েছে পায়েল।
এরপর ছোট মেয়ে পারুলকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। সকলকে জানায় পারুল অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। এরপর ত্যাগী পরিবারের ১৪ বছরের সন্তান নিশুকেও ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে খুন করানো হয়। তখন অবশ্য থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ত্যাগীর বড় ছেলে রীশুকেও একইভাবে খুন করা হয়। অবশেষে পরিবারের সন্দেহ হতে শুরু করে। পুলিশ তদন্তে নেমে লিলুকে গ্রেপ্তার করে।