সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সু’গ’ন্ধি বাসমতি চালের জ’ন্ম কো’ন দেশে? এ’বা’র চাল নিয়ে মু’খো’মু’খি ভারত-পাকিস্তান

পাকিস্তান এবং ভারতের সম্পর্ক কোনোদিনই ভালো নয়। এবার তাদের মধ্যে অন্য একটি বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগেছে।এবার আর কাশ্মীর নয় বরং চাল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই হচ্ছে। কিছুদিন আগেই প্রটেক্টেড জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অথবা পিজিআই ট্যাগের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দ্বারস্থ হয় ভারত। এনাদের কাছে অনুমোদন পাওয়া গেলে বিদেশের বাজারে বাসমতির মালিকানা থাকবে শুধুমাত্র ভারতের। এই খবর জানতে পেরে তারাতারি আসরে নেমেছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই ইউরোপের বাজারে চাল রপ্তানিতে বড় জায়গা বহু বছর ধরে রেখেছে পাকিস্তান। ফলে ভারত যদি ট্যাগ পেয়ে যায়, তাহলে বিদেশের বাজারে পাকিস্তানের মান অনেকটাই কমে যাবে।

বাসমতি চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত বৃহত্তম দেশ এখনো অবধি।তার পরেই স্থান পাকিস্থানের। ভারতের বার্ষিক আয় প্রায় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের বার্ষিক আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার। ইদানিং বিশ্বের দরবারে চাল রপ্তানি বেশ খানিক টা বেড়েছে পাকিস্তানের। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উপার্জনের একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই চাল রপ্তানি। কিন্তু ভারত যদি এই ট্যাগলাইন পেয়ে যায় তাহলে বিদেশের বাজারে প্রমাণিত হবে যে, ভালো মানের বাসমতি চাল উৎপাদন করা হয় ভারতে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান।

তবে এই ট্যাগ পাওয়া গেলে ভারত আরো বেশি করে ধানের উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করা যাবে। এই স্বীকৃতি এমন একটি জিনিস যা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের এবং সেখানকার বসবাসকারীদের উন্নতি হয়।খানিক টা যেমন কলকাতার রসগোল্লা অথবা বেনারসে শাড়ির ক্ষেত্রে হয়েছে। নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত সামগ্রির ক্ষেত্রে এই ট্যাগের দাবি করা যায়।

বাসমতির অন্য আর এক অর্থ সুগন্ধি। এই ধান একইসঙ্গে উৎপাদন করা হয় ভারত এবং পাকিস্তানে। এই ধান উৎপাদন করা হয় হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব,হরিয়ানা,উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ,দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীরে। প্রাচীন ভারতে বাসমতির চাষ হতো এর উদাহরণ আমরা দেখতে পেয়েছি ইতিহাসের পাতায়। মহেঞ্জোদারো সভ্যতার খননের সময়তে ও চালের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে।