সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এ’টি’সি’র অ’নু’মো’দ’ন এবং স’হা’য়’তা ছা’ড়া’ই কা’বু’ল থে’কে বিমান ও’ড়া’লেন পাক পাই’লট

এটিসির অনুমোদন এবং সহায়তা ছাড়াই কাবুল থেকে বিমান ওড়ালেন পাক পাইলট

তালিবানি শাসনে উত্তপ্ত কাবুল। সেই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেক বাসিন্দা দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন। যারা ভিন রাষ্ট্র থেকে আফগানিস্থানে বসবাস করছিলেন এতদিন, তারাও এখন নিজের দেশে ফিরতে চাইছেন। এমতাবস্থায় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক উড়ান এয়ারবাস এ-৩২০ কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য। তখনো তালিবানের ভয়ে আশরাফ গনি পিঠ দেখিয়ে দেশ ছেড়ে পালাননি।

ওই বিমানের গন্তব্য ছিল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। তবে কাবুলের মাটি থেকে উড়ে পাকিস্তান এসে পৌঁছানো বিমানের পক্ষে সহজ ছিল না। গত রবিবার বিকেলের দিকে বিমানটি যখন যাত্রীদের নিয়ে উড়ানের জন্য সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা করছিল ঠিক তখনই জানা গেল কাবুলের দখল নিয়ে নিয়েছে তালিবানরা। বিমানবন্দরের এটিসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এমতাবস্থায় তালিবানের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিমান আর আকাশে উড়তে পারবে না। তবে ঐ বিমানের পাইলট মকসুদ বাজরানির মাথায় তখন কেবল একটাই কথা ঘুরছিল, যেভাবেই হোক কাবুলের মাটি থেকে এই বিমান আকাশে উড়াতেই হবে। তাই তিনি ঝুঁকি নিয়েই ফেললেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সহায়তা ছাড়াই বিমান উড়লো আকাশে। বিমানে উপস্থিত যাত্রীদের ভার তখন তার কাঁধের উপর। ওই অবস্থায় বিমান উড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ কোনোভাবে তালিবানদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তালিবানরা পাকিস্তানের বাসিন্দাদের পণবন্দি করে ফেলতে পারে।

বিমানবন্দরে তখন শয়ে শয়ে যাত্রী এগিয়ে আসছেন বিমানে ওঠার জন্য। এদিকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অনুমোদন ছাড়া বিমান ওড়ালে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে তাকে। তবে তিনি নিজের একার কথা চিন্তা না করে সেদিন সেই যাত্রীদের কথা ভেবেছিলেন। তাই তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন বিমান আকাশে ওড়ানোর। সেইমতো এটিসির অনুমোদন এবং সহায়তা ছাড়াই বিমান আকাশে উড়িয়ে যাত্রীদের পাকিস্তানের মাটিতে নিরাপদভাবে পৌঁছে দেন তিনি। এই গল্প যেকোনো হলিউড থ্রিলার মুভির গল্পকেও হার মানাতে পারে।