সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক্ষ’ম’তা ধ’রে রা’খ’তে তা’লি’বা’নে’র এ’ক’মা’ত্র ভ’র’সা এই কোটিপতি ব্যবসায়ী, উড়ছে টা’কা

আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সেই দেশের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। সেই নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। তবে আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তালিবানদের সমর্থন করছেন তার ভাই হাসমত গনি। আফগানিস্তানের কোটিপতি ব্যবসায়ী তিনি। তিনিই এখন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের সব থেকে বড় ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন।

২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আশরাফ গনি। এদিকে শিক্ষিত, সুবক্তা, প্রভাবশালী এবং আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষমতাবান হাসমত গনিও ছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট পদের দাবিদার। তবে নির্বাচনের আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা দখলের লড়াই নিয়ে একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে এই লড়াই কার্যত আন্তর্জাতিক মহলের চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল।

বরাবরই দেশের অর্থনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে সরব ছিলেন হাসমত। তিনি বলতেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে আফগান সরকার উদাসীন। এমনকি বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি ডলার পেয়েও তা কাজে লাগায় না সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়নে কোনও ইচ্ছা তো নেই-ই বরং ওই অর্থ সরকারই আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সব কিছু নিয়েই হাসমত অভিযোগ করেছেন বার বার। প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের ঘনিষ্ঠ আশরাফ গনিকেই সেই সময় প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। এদিকে হাসমত গনি বরাবর দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেটমাধ্যমে এর পাশাপাশি ছড়িয়েছিল একটি ভিডিয়োও। তাতে দেখা যায় তালিবান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন হাসমত। পাশে দাঁড়ানো তালিব নেতা জড়িয়ে ধরেছেন হাসমতকে। তাঁর মাথা চুম্বন করতেও দেখা যায় ওই তালিবান নেতাকে। এর পর সশস্ত্র তালিব যোদ্ধারা স্লোগান দিতে শুরু করেন। মুখে খুশির হাসি দেখা যায় হাসমতেরও।

আফগান সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ ছিল বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার সাহায্য পেয়েও এই সরকার তা কাজে লাগায় না।

হাসমত নিজেও বলেছিলেন তাঁর নাম বাদ যাওয়ার নেপথ্যে আফগান ‘রাজপ্রাসাদের’ ভূমিকা থাকতে পারে। তবে এ নিয়ে আর বেশি কথা বাড়াননি। গত কয়েক বছরে সে ভাবে খবরেও ছিলেন না সদ্য প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্টের এই শিল্পপতি ভাই।

বুলেটপ্রুফ লিমুজিন গাড়িতে ঘোরাফেরা করেন হাসমত। ২৩ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদে তার বাস। আফগানিস্তানের যখন তালিবান রাজ কায়েম হচ্ছে তখন সেই সরকারকে তিনি অভ্যর্থনা জানিয়ে ছিলেন। একটি টুইট বার্তায় তিনি তালিবানকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, আফগানিস্তানকে নিরাপত্তা দিতে পারে একমাত্র তালিবানরাই। নেট মাধ্যমে দেখা যায় তালিবানের শীর্ষ নেতার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল সেই দৃশ্য।