ঘরোয়া টোটকা কখনো কখনো আমাদের জীবনের অনেক সমস্যা সমাধান করে দেয় খুব সহজেই তবে সেই সমস্ত টোটকা বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত নই। আসুন জানবো কিছু টোটকা যেগুলি আমাদের জীবনে শ্রী বৃদ্ধি ঘটাবে।
জীবনে সুখ সমৃদ্ধির জন্য আমাদের নৈমিত্তিক জীবনের দুটো জিনিস অত্যন্ত শুভ। তা হল কেশর এবং হলুদ যার সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রেরও গভীর সম্পর্ক আছে বলে আমরা জানি। এমনকি জ্যোতিষ ও বাস্তু অনুযায়ী জানা যায় বৃহস্পতি হলেন সৌভাগ্য সমৃদ্ধি জ্ঞান কর্মজীবনের কারক। যদি কখনো জীবনে টাকা পয়সা বা ক্যারিয়ার সংক্রান্ত সমস্যা হয় তার জন্য কেশর এবং হলুদ অত্যন্ত শুভ। যে কারণে আমরা দেখি আমাদের যে কোন আচার অনুষ্ঠানে হলুদের প্রাধান্য রয়েছে।
যেমন লক্ষী দেবীর আরাধনা করতে গেলে রুপোর মুদ্রায় হলুদ মাখিয়ে লাল কাপড়ে বেঁধে লকার বা আলমারিতে রাখতে হয় কারণ এতে জীবনের সুখ সমৃদ্ধি ঘটে ও লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদও পাওয়া যায়। কখনো কখনো ধনলক্ষ্মীর সামনে একটি হলুদের পিণ্ডকে নিবেদন করতেও বলা হয়, এমনকি মানিব্যাগে আলমারিতেও এই হলুদ পিন্ড রাখার চল রয়েছে এতে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা জীবন থেকে দূরীভূত হয় এবং কর্মজীবনে আসে উন্নতি।
আরো খবর: বাড়িতে কি অ’শ’রী’রী কার্যকলাপ টে’র পাচ্ছেন? লক্ষণ গু’লো কি কি?
আবার বাড়ির মূল গেটে হলুদ জল ছেটানোর রীতিও রয়েছে। এতে নাকি বাস্তুদোষ দূর হয় এবং ওই পথ দিয়েই লক্ষ্মীদেবী গৃহে প্রবেশ করে যার ফলে নেতিবাচক শক্তিও দূরীভূত হয়। বৃহস্পতিবার কাউকে হলুদ না দেবার পরামর্শ দেন জ্যোতিষ শাস্ত্র। তবে হলুদ কেনার শুভ দিন হলো বৃহস্পতিবার কারণ এতে নাকি বাড়িতে শুভ প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এবং বাড়ির শ্রী বৃদ্ধি ঘটে।
এরই পাশাপাশি কেশরেরও আরো অনেক উপকারী দিক রয়েছে অনেকেই কেশরের তিলক করে থাকেন। যদিও কেশর শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে বলেই জানি আমরা কিন্তু এরই পাশাপাশি পজিটিভ এনার্জিও জীবনে ছড়িয়ে দেয়। কারণ এই কেশরের তিলক হল গণেশ লক্ষ্মী মহাদেব এবং বিষ্ণুর খুব প্রিয়।
অনেকেই আবার দুধে কেশর মিশিয়ে পান করেন এতে শরীর ও ভালো থাকে। এছাড়াও শিবলিঙ্গকেও দুধে কেশর ও হলুদ মিশিয়ে অভিষেক করা রীতি রয়েছে কারণ এতে নাকি জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধি পায় ও লক্ষীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আজই এই টোটকা গুলি মেনে চলুন যাতে করে আমার আপনার প্রত্যেকের জীবন সুখময় হয়ে ওঠে। মাত্র কিছু সহজ পন্থা অবলম্বন আর ফল হাতে নাতে , জীবনের সুখের চাবিকাঠি এবার আপনার হাতের মুঠোয় ।
