সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“স্বাস্থ্যসাথী” কার্ডে ক’রো’না রো’গী’কে ভ’র্তি নিচ্ছে না অনেক হাসপাতাল

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান অস্ত্র ছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। তবে এই প্রকল্পের আওতায় সবথেকে বেশি সাড়া ফেলে দিয়েছিল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। অতিমারির এই পর্যায়ে সরকারের খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রধানত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করতে মানুষের লম্বা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে করোনার চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না।

এই মর্মে ইতিপূর্বে বহু অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য স্বাস্থ্য দপ্তর আনস্পেসিফাইড ক্যাটেগরিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে করোনার চিকিৎসা করার নির্দেশ দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিতে চাইছে না। আমরি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় শয্যার জন্য ভাড়া ১৮০০ টাকা এবং পিপিই কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার ছয় টাকা ধার্য করা হয়েছে। এত কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা আক্রান্ত রোগীকে যদি আইসিইউ বেডে স্থানান্তরিত করতে হয় তাহলে সেই বেড ভাড়া কখনোই ১৮০০ টাকার মধ্যে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে অবশ্য হৃদ্‌রোগ বা অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য ভর্তির পরে যদি তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসলে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা পাচ্ছেন রোগীরা।

মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের তরফ থেকেও সেই একই দাবি করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ১০০টির বেশি বেড রয়েছে এমন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই হাসপাতালেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে করোনা রোগীরা চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অতএব স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় তা বিশেষ কাজে আসছে না।