গ্রহরাজ হিসেবে মানা হয় শনি দেবকে। যদিও অনেকে তাকে ভয়ংকর দেবতা নামেই চেনেন। কিন্তু শনি দেব যার উপর কৃপাবর্ষণ করেন তিনি সর্বেসর্বা হয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে শনিদেবের মন্দির। তার মধ্যে বেশকিছু মন্দির খুব জাগ্রত। সেই মন্দিরে যারা পূজো দিতে আসেন তারা শনিদেবের কৃপা দৃষ্টি লাভ করেন।
তবে শনি পুজোর জন্য কিছু নিয়ম পালন করতে হয়।। সেই নিয়মের কোনো নড়চড় হলেই রুষ্ট হন শনিদেব। এই বাংলায় রয়েছে এমন এক মন্দির যেখানে প্রতিদিন অন্যান্য দেবতার মতই শনি পুজো করা হয় নিষ্ঠাভরে। কথিত আছে এই মন্দিরের পূজো দিলে সংসারে যাবতীয় অশান্তি ও বাধা কেটে যায়। সঙ্গে সুখ শান্তি বর্ষিত হয় জীবনে।
এই মন্দির রয়েছে হাওড়ার বাঁধা ঘাটে। আজ থেকে ৩৫০ বছর আগে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে পুরনো মন্দির বলেই জাগ্রত বাধাঘাটের এই শনি মন্দির। এই মন্দিরের বিগ্রহ স্থাপন করেছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ চক্রবর্তী। তার মৃত্যুর পর বংশ-পরম্পরায় ছয় প্রজন্ম এই মন্দিরের সেবা ভার গ্রহণ করেছেন। এখানে শনিদেবের বিগ্রহ ধূসর। শকুনের উপর দাঁড়ানো মূর্তি তার ডান হাতে রয়েছে তীর ।
দ্বিতীয় হাতে পদ্ম। তৃতীয় হাতে ধনুক এবং বাম হাতে গদা। এখানে শনির বিগ্রহের উচ্চতা ৫ ফুট। মাথায় রয়েছে একটি মুকুট। এই মন্দিরে যারা পূজো দিতে আসেন তারা কেউ খালি হাতে ফেরেন না বলেই জানানো হয়। মন্দিরে মানত করলে পূর্ণ হয় মনস্কামনা।