সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অবিবাহিত পুরুষদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গ্রামে! যুবকদের বি’য়ে দিতে যা করলো গ্রাম পঞ্চায়েত

মহারাষ্ট্রের একটি ছোট জেলায় পাতিদার গোষ্ঠীর লেভা পাতিল সম্প্রদায়ে ঘটছে এক অদ্ভুত ঘটনা।যেখানে পাত্র সংখ্যায় প্রচুর হলেও পাত্রী সেই তুলনায় খুবই কম। ফলত ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অবিবাহিত যুবকদের সংখ্যা। সেখানকার অর্ধেক যুবকের ৩০ বছরের বেশি বয়স, তবুও তাঁরা অবিবাহিত, কারণ পাত্রী নেই।

আর যোগ্য পুরুষের সংখ্যা পাত্রীর চেয়ে ঢের বেশি। তাহলে এই সমস্যা সমাধানের উপায় কি? তা নিয়েই চিন্তিত সেখানকার মানুষ। তাই অনেক খুঁজে জলগাঁও জেলার ভুসাভাল অঞ্চলের লেভা পাতিল গোষ্ঠীর মানুষ এক অনন্য পন্থার আশ্রয় নেন।

গ্রাম পঞ্চায়েত এই জেলার অবিবাহিত যুবকদের বিয়ের জন্য অনাথাশ্রম থেকে মহিলাদের নির্বাচন করা শুরু করেছে। এর সাথে সাথে, এই অনাথ মহিলাদের তথাকথিত সামাজিক নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য, বিয়ের আগেই বরদের তাঁদের সম্পত্তির ৩০% থেকে ৫০% নিজের বউয়ের নামে বন্ধক রাখতেও বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন: ঘন্টায় ৩৫ হাজার কিমি বে’গে ধে’য়ে আ’স’ছে পৃথিবীর দি’কে

গত কয়েক বছর ধরেই বর-কনের সংখ্যার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান লক্ষ্য করা গিয়েছে ভোরগাঁও জেলায়। এই বছর যেখানে ১৯০ জন নারীর নাম বিয়ের জন্য নথিভুক্ত হয়েছে, সেখানে ৬২৫ জন পুরুষ বিয়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।

অনাথ আশ্রম থেকে মহিলাদের বিয়ে করে তাঁদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করার এবং এই সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পঞ্চায়েত যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে সমর্থন রয়েছে স্থানীয়দের।

কারণ তাদের মতে, এইভাবেই এই জটিল সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। পাশের চালিশগাঁও গ্রামে ইতিমধ্যেই এমন বিয়ের আয়োজন শুরু হয়েছে।

তবে আইনি অনুমতি সবার আগে প্রয়োজন। চাইলেই এই গোষ্ঠীর পুরুষরা স্ত্রী অনাথ বলে অসম্মান করতে পারবে না, কারণ বিবাহ-পরবর্তী দ্বন্দ্ব দেখা দিতেই পারে।

আরো পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্র’ক’ল্পে আ’রো ব’রা’দ্দ বাড়লো, ২৩ লক্ষ মহিলা পাবেন এই সু’বি’ধ

তাই স্ত্রীর সামাজিক সুরক্ষার কথা ভেবে আগেভাগেই বরের সম্পত্তির ৩০% থেকে ৫০% কনের জন্য লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে। এই শর্ত মানলে তবেই বিয়ে হবে, নচেৎ নয়।

শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য, এই ধরণের বিয়ের আইনি দিকগুলি বোঝার জন্য এবং এই জাতীয় অনাথাশ্রমের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি সমীক্ষাও আয়োজিত হচ্ছে।

আগামী মে মাসেই, লেভা পাতিল সম্প্রদায়ের সদস্যরা ওয়ার্ধা, ঔরঙ্গাবাদ এবং রাজস্থানের অনাথাশ্রমে যাবেন এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।