করোনার তৃতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। এবার ওমিক্রন রূপে হানা দিচ্ছে করোনা। প্রথম ঢেউয়ে মা-বাবা আক্রান্ত হলেও আঁচ লাগেনি শিশুদের। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চিত্রটা বদলে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ এলে সবচেয়ে বড় ফাঁড়া যাবে শিশুদের উপর দিয়েই। এই পরিস্থিতিতে চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের।
তবে বাড়িতে কয়েকটি নিয়ম মানলেই শিশুদের সুস্থ রাখা যাবে। বাঁচানো যাবে করোনার থাবা থেকে। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। এই তথ্য অবশ্যই বড় স্বস্তির। প্রথম দু’টি ঢেউয়ে এই কারণেই খুব বেশি আক্রান্ত হয়নি শিশুরা।
১৮ বছরের নীচে খুব কম জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। কিন্তু দ্রুত হারে রূপ বদল করছে করোনা। প্রথমে ডেল্টা, তার পর ওমিক্রন। তাই এই সময়টা বাচ্চাদের জন্য বড় ঝুঁকির। করোনা আক্রান্ত শিশুদের মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা আবার বোঝা যায় না।
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, যে সব শিশুর হালকা উপসর্গ বা কোনও উপসর্গ ধরা পড়েনি, কয়েক মাস পর থেকেই তাদের মাল্টি ইনফ্ল্যামেটরি সিস্টেম হয়েছে।তবে স্থূলতা, টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা কোমর্বিডিটি যুক্ত শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কোভিড-পরবর্তী সিন্ড্রোম ছোট বাচ্চাদের জন্য দীর্ঘকালীন শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। ক্লান্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা প্রদাহের সমস্যাও দেখা যায়।