ঘাতক মৌমাছি বা খুনি মৌমাছি মানুষের হাতেই তৈরি, মানুষের একটি ভুল সিদ্ধান্ত যা মানুষকেই এবার অসুবিধার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।মধু উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।১৯৫০ সালে মধু উৎপাদনের জন্য যখন মৌমাছির নতুন প্রজাতি তৈরি করতে বলা হয়েছিল।
তখন বিজ্ঞানীরা এই খুনি মৌমাছি প্রজাতি তৈরি করতে সক্ষম হয়। প্রথমদিকে হয়তো তাদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না, খারাপ হল ১৯৫৭ সাল থেকে। যাতে খুব সহজেই মধুর উৎপাদন বাড়ানো যায় সেই কারণেই, ব্রাজিলের (Brazil) রিও ক্লারোতে (Rio Claro) বায়োলজিস্ট ওয়ারউইক ই. কেরকে (Warwick E. Kerr) একটি নতুন প্রজাতির মৌমাছি তৈরি করার জন্য ব্রাজিল সরকার নির্দেশ ও অর্থায়ন করেছিল।
ওয়ারউইক ই. কের ইউরোপিয় মৌমাছির একটি প্রজাতি দক্ষিণ আমেরিকায় নিয়ে আসেন এবং তা থেকে একটি নতুন প্রজাতি তৈরি করেন। এই নতুন মাছের প্রজাতি তৈরি নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী অনেক কথাই বলেছিলেন। তাদের বিভিন্ন মত ব্যক্ত করেছিলেন।
আরো পড়ুন: মাসে ক’তো টা’কা বেতন সৌরভ গাঙ্গুলির? এবার প্র’কা’শ্যে এ’লো দাদার সম্পত্তির পরিমাণ
ঠিক সে হিসেবেই ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিসের এপিকালচারিস্ট এরিক মিউসেন আইএফএলসায়েন্সকে (IFLScience) বলেছেন যে ওয়ারউইক যে ইউরোপিয় মৌমাছিগুলি নিয়ে এসেছিল তারা সারাদিন রস চুষছিল। নতুন মৌমাছি প্রজাতির মধ্যে আফ্রিকার মৌমাছির জিনও এসেছিল। এই নতুন মৌমাছির নাম দেওয়া হয় কিলার বিস।
"Killer Bees" Were Created By Scientists In An Experiment That Went Wronghttps://t.co/CZHPoUXoXr pic.twitter.com/RFQ8NQnEFB
— IFLScience (@IFLScience) March 11, 2022
বিজ্ঞানীরা আফ্রিকা ও ইউরোপীয় মৌমাছির প্রজনন করে এই পরীক্ষা করেছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা গেল এক জায়গায়,ঘাতক মৌমাছিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাদের আলাদা কলোনি তৈরি করতে শুরু করল। এবং সময়ের সাথে সাথে তারা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল।
এরপরে সবথেকে বড় ভুল হল, এইসব ঘাতক মৌমাছি ল্যাব থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেল। আর তারা ছড়িয়ে গেল বিভিন্ন জায়গায়, বিপদজনক কুড়িটি কলোনি বেরিয়ে গেল লাভ থেকে। যেগুলো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় দারুণভাবে ছড়িয়ে পরলো।
আর ঠিক তারপর থেকেই শুরু হল তাদের তান্ডব। যা নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরাই খুব জুলুমে পরে গেছে। কারণ এই মৌমাছি অন্য সব মৌমাছির থেকে দারুণভাবে আক্রমণাত্মক।এমন অনেক ঘটনা উঠে এসেছে সামনে ।